অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসতে শুরু করেছে আমন্ত্রিত অতিথিরা। গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি ভিপি নূর সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে প্রবেশ করেন বঙ্গভবনে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠিত হবে। ৯টায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বিকালের পর থেকেই বঙ্গভবনে আসতে শুরু করেছেন অতিথিরা।
তালিকায় তাদের নাম দেখে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন সেনা সদস্যরা।
অতিথিদের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক, সংগঠন, সুশীল সমাজের প্রতিবিধি, ডাক্তার, আইনজীবী, মন্ত্রণালয় থেকে ডাক পাওয়া বিভিন্ন সচিবরা। যারা অংশগ্রহণ করবেন তাদের আগেভাগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধানসহ ১৫ থেকে ১৮ জন উপদেষ্টা শপথ নেবেন। এরই মধ্যে তাদের জন্য ২১টি নতুন গাড়ি প্রস্তুত করা হয়েছে।
বঙ্গভবন গেটে ভিপি নূর সাংবাদিকদের বলেন, আমরা রাষ্ট্র সংস্কার ও মেরামত করতে বলব। আমরা চাইব একটা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন করা হোক। অনিয়ম দুর্নীতি রোধ করার বিষয় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। জনগণের সম্পদ লুট ও জনগণের ওপর হামলা করা বন্ধ করতে হবে।
জানা গেছে, গেল মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা যেসব গাড়ি ব্যবহার করেছেন সেসব গাড়িই পরিষ্কার পরিছন্ন করে প্রস্তুত করা হয়েছে। পরে এসব গাড়ি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজে ব্যবহার করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গভবনের দরবার হলে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
এদিকে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারে অন্য কারা থাকছেন সে ব্যাপারে বিভিন্ন মহলে চলছে নানা আলোচনা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যারা মন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে যাদের নাম প্রস্তাব এসেছে, তারা হলেন... সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দীন আহমেদ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ, বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ, একজন সাবেক জেনারেল ও একজন মুক্তিযোদ্ধা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের প্রস্তাব আগামী ৩ বছরের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হোক।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত তিনদিন ধরে দেশে সরকার নেই। ফলে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দ্রুত অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের জন্য তাগিদ দিচ্ছে।
ফ্রান্সের প্যারিস থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূস। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান তিন বাহিনী প্রধান, পুলিশের নবনিযুক্ত আইজিপিসহ বিভিন্ন বাহিনী প্রধান, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
মন্তব্য করুন