কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৪, ০২:১৩ পিএম
আপডেট : ১১ আগস্ট ২০২৪, ০২:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ক্ষমতাচ্যুতির পর শেখ হাসিনার প্রথম বার্তা

ক্ষমতাচ্যুতির পর শেখ হাসিনার প্রথম বার্তা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরোনো ছবি

ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। ৫ আগস্টের এই অভ্যুত্থানের পর নিরবতা ভেঙেছেন বাংলাদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

কারা, কি কারণে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে সেই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে শেখ হাসিনা দাবি করেছেন, নিজের ক্ষমতাচ্যুতের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে না দেওয়ায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতে যাওয়ার পর একাধিকবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে দেখা হয়েছে শেখ হাসিনার। ভারতীয় নিরাপত্তা এবং কূটনৈতিক কর্তাদের সঙ্গেও কথা হয়েছে তার।

রোববার (১১ আগস্ট) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা এবং বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য তিনি আমেরিকাকে সরাসরি দায়ী করেছেন।

দেশত্যাগ করার আগে যে বক্তব্য তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে দিতে চেয়েছিলেন, তাতেও এর উল্লেখ ছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। হাসিনা জানিয়েছেন, আমেরিকার কথামতো বঙ্গোপসাগরে একক আধিপত্যর জন্য সেন্টমার্টিন দ্বীপ তাদের ছেড়ে না দেওয়ার মাসুল এই ক্ষমতাচ্যুত করা। তিনি বাংলাদেশিদের সতর্ক করেছেন, তাদের ওপর মৌলবাদীরা যেন ভর না করে।

শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেছেন, তিনি আবার নিজের দেশে ফিরে যাবেন। তিনি মনে করেন, আওয়ামী লীগ বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে, আবারও দাঁড়াবে। তার দলের বহু নেতাকে হত্যা ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার খবরে তিনি অত্যন্ত ব্যথিত।

ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, হাসিনা ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগের শীর্ষ কর্তাদের বক্তব্য, গত মে মাসে আমেরিকার দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহসচিব ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফরের সঙ্গে এই ক্ষমতা পরিবর্তনের সম্পর্ক রয়েছে। এই অভিযোগও তারা করছেন যে, লু চিনবিরোধী কিছু পদক্ষেপ নিতে হাসিনার ওপর চাপ দিচ্ছিলেন।

শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতের হিন্দন বিমানঘাঁটির কাছাকাছি একটি গোপন আস্তানায় অবস্থান করছেন। যতক্ষণ না তার পরবর্তী আশ্রয়ের ঠিকানা নির্ধারিত হয়, হাসিনা নয়াদিল্লিতেই থাকবেন। ধারণা করা হচ্ছে, শেখ হাসিনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ভারতে থাকতে হতে পারে। তবে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আইনি সুযোগ না থাকায় ভিসার মাধ্যমে তিনি দিল্লিতে থাকবেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাইবান্ধা জেলা জাসদ সভাপতি মনার মৃত্যু

সাভার শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক, কাজে ফিরেছে শ্রমিকরা

মণিপুরে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক আহ্বান

হলান্ডকে নিয়ে রিয়াল-সিটির টানাটানি

‘আলো আসবেই’ নিয়ে মুখ খুললেন গ্রুপের অ্যাডমিন শামীমা তুষ্টি

যুবদল নেতার ওপর স্বেচ্ছাসেবক দলের হামলা

ইতালির মোনফ্যালকনে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা

কোটা আন্দোলনে শহীদদের তালিকা কবে হবে জানালেন উপদেষ্টা নাহিদ

ইসরায়েলের এত অস্ত্র এলো কোথা থেকে?

সীমান্তে ফেলানীর মতো হত্যাকাণ্ড দেখতে চাই না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১০

লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে / বিশেষ অভিযানে যৌথবাহিনী

১১

সন্ধ্যায় দেশে ফিরছেন আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ বাংলাদেশি

১২

তরুণীকে হত্যার ঘটনায় ক্ষেপলেন এরদোয়ান, নিন্দা জানাল যুক্তরাষ্ট্রও

১৩

রাজশাহীতে বস্তাভর্তি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

১৪

রূপপুর পরমাণু প্রকল্প নিয়ে সরকারের অবস্থান জানালেন অর্থ উপদেষ্টা

১৫

গণভবন জাদুঘর হলে যা থাকবে সেখানে

১৬

হাথুরুসিংহের ফেরার তারিখ জানাল বিসিবি

১৭

বিজিবি সদস্যদের যেসব নির্দেশনা দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮

নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে লুট হওয়া ৫৩টি অস্ত্র উদ্ধার 

১৯

মেসি-রোনালদোর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পান কেইন

২০
X