শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) হঠাৎ চাকরি স্থায়ীকরণের মহোৎসব শুরু হয়। অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের আত্তীকরণ করায় এলজিইডি ভবনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিও করেন বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা। তারা আত্তীকরণের মাধ্যমে বৈষম্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে এলজিইডি ও এর আওতাধীন অফিসগুলোতে দুর্নীতিমুক্ত এবং বৈষম্যহীন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে ‘শুদ্ধাচার কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। ৯ সদস্যের এ কমিটিতে এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শেখ মুজাক্কা জাহেরকে আহ্বায়ক এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেনকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সাতজন সদস্য হলেন- অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়া, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম, আবু সালেহ মো. হানিফ, নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রকিউরমেন্ট) মো. গোলাম ইয়াজদানী, উপপ্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রউফ ও নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রশাসন) মো. আবু হানিফ মৃধা।
সোমবার (১৯ আগস্ট) এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আখতার হোসেনের সই করা অফিস আদেশে এ কমিটি গঠন করা হয়। শুদ্ধাচার কমিটির কার্যপরিধি কী হবে, তা-ও অফিস আদেশে জানানো হয়েছে।
শুদ্ধাচার কমিটির যত কাজ : এলজিইডিতে চলমান বৈষম্য চিহ্নিতকরণ ও তা নিরসনে সুপারিশ, দুর্নীতিমুক্ত কর্মপরিবেশ গঠনে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সুপারিশ এবং অভিযোগ যাচাইবাছাই করণীয় বিষয়ে সুপারিশ করতে পারবে এ কমিটি। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আচরণ বিধিমালা পরিপন্থি কার্যক্রম চিহ্নিত করে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ এবং প্রধান প্রকৌশলীর দেওয়া দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন করতে হবে কমিটির সদস্যদের।
মন্তব্য করুন