শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের বাসায় শিল্পকলার মহাপরিচালক

ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের বাসায় ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত
ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের বাসায় ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত

কবি, প্রবন্ধকার, গবেষক এবং ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের সঙ্গে দেখা করলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীতে তার নিউ ইস্কাটনের বাসায় দেখতে যান মহাপরিচালক।

ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক একাডেমির মহাপরিচালকের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এসময় তার সুস্থতা কামনা করেন মহাপরিচালক। দেশ, সমাজ রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেন, ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী, বর্ষীয়ান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক।

পরে ভাষাসৈনিক আহমদ রফিককে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে সম্মানজনক আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ, জনসংযোগ কর্মকর্তা ও অনান্যরা।

প্রসঙ্গত, আহমদ রফিকের সামাজিক অঙ্গীকার তাকে সাংস্কৃতিক জগতে সমস্ত জীবন কর্মব্যস্ত রেখেছে। ছাত্রজীবনে তিনি ভাষা-আন্দোলনে জরুরি ভূমিকা পালন করেছেন। ওই আন্দোলনের কথা তার বহু লেখায় পাওয়া যাবে। ভাষা আন্দোলনের ভেতরে ছিল প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সৃষ্টির আকাঙ্ক্ষা। সে রাষ্ট্রের হওয়ার কথা ছিল যথার্থ অর্থে ধর্মনিরপেক্ষ এবং নাগরিকদের ভেতরে অধিকার ও সুযোগের সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওই প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য আবশ্যক ছিল একটি সামাজিক বিপ্লবের। আহমদ রফিক ভাষা-সংগ্রামে যোগ দিয়েছেন সমাজবিপ্লবের স্বাপ্নিক হিসেবেই, এর চেয়ে খাটো কোনো লক্ষ্যে নয়।

আহমদ রফিকের প্রধান পরিচয় তিনি সাহিত্যিক। সাহিত্যিক হিসেবে তিনি অসাধারণ রকমের সৃষ্টিশীল। কিন্তু ওই পরিচয়ের ভেতর আরও পরিচয় রয়েছে। প্রথম কথা তিনি শুধু সাহিত্যিক নন, অঙ্গীকারবদ্ধ সাহিত্যিক। তার অঙ্গীকার শুধু সাহিত্যের প্রতি নয়, সাহিত্যকে সামাজিক করে তোলার ব্যাপারেও। তার সাহিত্যচর্চা সামাজিক অঙ্গীকারেরই অংশ। মনের আনন্দেই তিনি লেখেন, যে কাজ সব সাহিত্যিকেরই; কিন্তু যেটা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য তা হলো, নিজের আনন্দকে তিনি নিয়ে যান সমাজের কাছে। সেদিক থেকে তার মূল ভূমিকাটা হয়ে দাঁড়ায় সাংস্কৃতিক। সাহিত্যের চর্চার মধ্য দিয়ে তিনি সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে চান। আর এটা তো আমরা সবাই জানি যে, আমাদের সংস্কৃতি নানা কারণে পশ্চাৎপদ, তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সংস্কৃতিকর্মীরা ভূমিকা রাখতে পারেন; ভূমিকা থাকা দরকার রাজনীতিকদের, খুব বড় দায়িত্ব থাকে সাহিত্যিকদের। সাহিত্যিক হিসেবে আহমদ রফিক আজীবন এবং ক্লান্তিহীন রূপে ওই দায়িত্বটি পালন করেছেন।

সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তিনি কাজ করেছেন। তার প্রধান পরিচয় কবি হিসেবে, কিন্তু তিনি প্রবন্ধ লিখেছেন বহু বিষয়ে, বিশেষ করে সংস্কৃতি ও সমাজ বিষয়ে। এখনো তিনি নিয়মিত কলাম লেখেন সংবাদপত্রে। তার প্রবন্ধে গবেষণা থাকে এবং রবীন্দ্র-গবেষক হিসেবে অত্যন্ত বড় মাপের ও খুবই উপকারী কাজ করেছেন তিনি; এখনো করছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বৃহত্তর মিরপুরে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দেশ বাঁচাতে হলে বিএনপির বিকল্প নেই : টুকু

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা / বস্তিবাসী ও শহীদ পরিবারের ন্যায্য দাবি মেনে নিন

মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা

রাজধানীতে ১৭ ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জাগপা ছাত্রলীগের বৈঠক

হাত-মুখ বেঁধে শিশুকে ধর্ষণ, যুবককে খুঁজছে পুলিশ

এনসিটিবির নামে ‘নকল’ ছাপাখানা, আটক ৫ 

পচা চাল ক্রয়, বাচ্চু মিয়াকে বাধ্যতামূলক অবসর

শহিদুল আলমসহ নৌবহর থেকে আটক ব্যক্তিদের কারাগারে বন্দি

পা হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন আইসক্রিম বিক্রেতা রফিকুল

১০

গুণগত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা তারেক রহমানের অঙ্গীকার : সাঈদ

১১

চাকসু নির্বাচনের প্রচারে এগিয়ে ছাত্রদলের প্যানেল

১২

জনপ্রশাসনের এপিডি এরফানুল হককে বদলি

১৩

কর্ণফুলীর তীরে নতুন আশা

১৪

চাকসু নির্বাচনে আরও তিন প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা

১৫

সিলেট বিমানবন্দরে বিদ্যুৎস্পর্শে যুবকের মৃত্যু, থানায় মামলা

১৬

বৃষ্টি আর কতদিন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৭

আগে টাইফয়েড টিকা গ্রহণকারীরা কি আবার নিতে পারবে?

১৮

বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামছেন সাবেক মেয়র আরিফ

১৯

পরাজয়ে কার্যত শেষ বাংলাদেশের এশিয়ান কাপ আশা

২০
X