কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বর্ষবরণ আয়োজন সফল: ঢাবি ভিসি

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। ছবি : সংগৃহীত
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় অনেক বাধা বিপত্তি ছিল, অযৌক্তিক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছিল। সবার সহযোগিতায় ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এ আয়োজন সফল হয়েছে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে সংক্ষিপ্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব এ কথা বলেন।

অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ বলেন, মাত্র ৮ দিনের মধ্যে এমন আয়োজন করাটা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এমন আয়োজন সফল হয়েছে।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, বড় মাপের একটি উৎসব আমরা বাধা-বিপত্তি ছাড়াই শেষ করতে পেরেছি। কঠিন সময়ে সাংবাদিকরা আমাদের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্নভাবে ছিলেন।

উপাচার্য আরও বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে জাতিসংঘ আমাদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছিল, সেখানে তিনটি বিষয়। একটি ছিল আমাদের যত নৃগোষ্ঠী আছে এবং সংস্কৃতি আছে তা যেন তুলে ধরতে পারি। এবার কিন্তু সেটিই করা হয়েছে। এবার সব থেকে জাকজমকপূর্ণ এবং সবচেয়ে বৈচিত্রপূর্ণ শোভাযাত্রা বের করা হয়েছে।

এর আগে, সকাল ৯টায় শুরু হওয়া বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার র‍্যালি সাড়ে ১০টার দিকে আবার চারুকলা অনুষদের সামনে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শাহবাগ মোড় হয়ে টিএসসি দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যায়। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর ঘুরে টিএসসি হয়ে আবার চারুকলা অনুষদের সামনে এসে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ প্রমুখ।

শোভাযাত্রার সামনে ছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সুসজ্জিত একটি ঘোড়ার বহর। এরপরই ছিল দেশের ২৮টি নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষ। এরপর ছিল চারুকলা অনুষদের মূল ব্যানার। আরও ছিল ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, মাছ, শান্তির পায়রা, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নাম, পানির বোতল, ৩৬ জুলাইয়ের একটি মোটিফ, ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি স্ক্রল প্রভৃতি।

শোভাযাত্রায় ৭টি বড়, ৭টি মাঝারি ও ৭টি ছোট মোটিফসহ মোট ২১টি মোটিফ প্রদর্শন হয়। এবারের শোভাযাত্রার মূল মোটিভ ছিল ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’। তাছাড়া, পায়রা, মাছ, বাঘ ও মুগ্ধর আলোচিত পানির বোতল প্রদর্শন হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অনলাইনে ইলিশ বিক্রির নিবন্ধন পেলেন ৭ উদ্যোক্তা

ভিক্ষুকের ঘরে ২ বস্তা টাকা, গুনতে লাগল ৫ ঘণ্টা 

১০ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

গাজায় যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে 

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

গাজা চুক্তিকে ইরান হামলার সঙ্গে যুক্ত করলেন ট্রাম্প

১০ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

নোয়াখালী বিভাগ চেয়ে ইতালিতে প্রবাসীদের স্মারকলিপি

কাবুলে বিস্ফোরণ, ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে যা বললেন জবিউল্লাহ মুজাহিদ

‘ওলামা-মাশায়েখদের ত্যাগ-কোরবানি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে’

১০

যুদ্ধবিরতিতে গাজার ঘরে ঘরে আনন্দ, রাস্তায় মিছিল

১১

সচেতন হলে ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধ সম্ভব : চসিক মেয়র

১২

২০ মাসে মামলার রায়, স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

১৩

ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারই জাতির একমাত্র লক্ষ্য : গয়েশ্বর

১৪

ঘুষি মেরে বিমানের মনিটর ভেঙে ফেললেন লন্ডন প্রবাসী

১৫

ইসরায়েলের যে কারাগারে বন্দি শহিদুল আলম

১৬

আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, টিটিপি প্রধান নিহতের গুঞ্জন

১৭

বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল

১৮

এককভাবে সরকার গঠন করবে বিএনপি : এমরান চৌধুরী

১৯

‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে রংপুর অচল করে দিতে বাধ্য হবো’

২০
X