কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিটিআরসিতে দক্ষিণ এশীয় টেলিকম নীতিমালা নিয়ে কর্মশালা উদ্বোধন

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কর্মশালা। ছবি : কালবেলা
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কর্মশালা। ছবি : কালবেলা

প্রযুক্তির পরিবর্তন নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশই একই ধরনের সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমনটা বলেন তিনি।

এদিন দক্ষিণ এশীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অংশগ্রহণে ঢাকায় পলিসি, রেগুলেশন ও সেবা সংক্রান্ত তিন দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়। যা চলবে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারীর সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- এশিয়া-প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটির মহাসচিব মাসানরি কুন্ড এবং পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথোরিটির সদস্য ও এসএটিআরসি ওয়ার্কশপ অন পলিসি, রেগুলেশন অ্যান্ড সার্ভিসেসের সভাপতি ড. খাওয়ার সিদ্দিক খোকার।

এতে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ এবং ইরানের প্রায় দুশ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন।

ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, টেলিকম শিল্পে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের জন্য মানসম্মত গ্রাহক সেবা ও ডিজিটাল সার্ভিস নিশ্চিতে দক্ষিণ এশিয়ার রেগুলেটরি চ্যালেঞ্জ সবচেয়ে বেশি।

তিনি বলেন, ডিজিটাল রূপান্তরে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে নানা চ্যালেঞ্জে রয়েছে। এসব বিষয় চিহ্নিত করে আমাদের সুযোগগুলো খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য সবাই মিলে একটি উত্তম নীতি প্রণয়নের বিকল্প নেই।

মাসানরি কুন্ডু বলেন, কর্মশালার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, সুযোগ এবং সম্ভাব্য অগ্রগতির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত উঠে আসবে, যা সদস্য দেশগুলোর রেগুলেটরি ও পলিসি প্রণয়নের ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।

ড. খাওয়ার সিদ্দিক খোকার বলেন, গ্রাহকের জন্য সুলভ ও সাশ্রয়ী ও মানসম্মত সেবা নিশ্চিতে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় আমাদের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ খাতকে অনকেদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, এই অঞ্চলের দেশগুলো ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নত করা ও ভোক্তা সুরক্ষা জোরদারের পাশাপাশি ফাইভজি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংকসের মতো প্রযুক্তি গ্রহণ করছে। এসব পদক্ষেপগুলো বিচ্ছিন্নভাবে না নিয়ে একটি পারস্পরিক আঞ্চলিক সমন্বয়ের মাধ্যমে গ্রহণ করা হলে তা জাতীয় অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবে।

১৯৯৭ সালে দক্ষিণ এশিয়ার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে সাউথ এশিয়ান টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কাউন্সিল (এসএটিআরসি) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংস্থা বেতার তরঙ্গ সমন্বয়, স্টান্ডার্ডাইজেশন, রেগুলেটরি প্রবণতা, টেলিযোগাযোগ খাত উন্নয়নের কৌশল এবং টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত আঞ্চলিক সহযোগিতা ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি সম্পর্কে কর্মকৌশল নির্ধারণ করে থাকে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১৯ মে : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

বুনিয়ান-উম-মারসুস / বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করল পাকিস্তান

সোমবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৯ মে : আজকের নামাজের সময়সূচি

এক বছরে দেশে বেকার বেড়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার

শেকৃবি সাদা দলের সভাপতি বাশার, সম্পাদক আখতার বানু

বাংলাদেশ বিমানে যে দেশে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ

ঢাকা আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী, অভিবাসনে অগ্রগতির সম্ভাবনা

জো বাইডেনের শরীরে ক্যানসার শনাক্ত, ছড়িয়ে পড়েছে হাড়েও

সকালের মধ্যে ঢাকাসহ কয়েক জেলায় ঝড়ের আশঙ্কা

১০

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ঢাবি উপাচার্যের বিশেষ বৈঠক, এলো যত সিদ্ধান্ত

১১

সীমান্তে রোহিঙ্গা পুশ-ইনের ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে উত্তেজনা

১২

বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের স্থলবন্দর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা : দিল্লি

১৩

চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যদের বিক্ষোভ নিয়ে অবস্থান জানাল সেনাবাহিনী

১৪

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন আধিপত্য আর চলবে না : আল-খামেনি

১৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের চার্জশিট হলে নির্বাচনে অযোগ্য, জামায়াতের অবস্থান

১৬

সাম্য হত্যার প্রতিবাদে চবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

১৭

নারায়ণগঞ্জে সাংবাদিক জিসানের মুক্তি দাবি

১৮

জমি নিয়ে বিরোধে যুবক খুন

১৯

অবৈধভাবে বাগদা রেনু শিকার, শত কোটি টাকার বাণিজ্য

২০
X