বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে নিযুক্ত করার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের এ কর্মসূচির ফলে গুলিস্তানের মাজার এলাকা থেকে বঙ্গবাজারমুখী সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল ৯টায় এ কর্মসূচিতে অংশ নেন হাজার হাজার নগরবাসী। পূর্ব কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল থেকেই শুরু হয় এ অবস্থান কর্মসূচি।
এদিন সকাল ৯টার দিকে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগরভবনের সামনে অবস্থান নেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। মূল ফটকের ভেতর ও বাইরে অবস্থান নিয়ে তারা শপথ পড়াতে বিলম্ব হওয়ার প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এ সময় তারা, শপথ নিয়ে তালবাহানা চলবেনা চলবেনা, অবিলম্বে ইশরাক হোসেনের শপথ চাই, দিতে হবে, জনতার মেয়র ইশরাক ভাই, অন্য কোন মেয়র নাই, রায় দিয়েছে আদালত, বাধা দেওয়ার তুই কে, আমাদের মেয়র আমরাই বানাবো প্রভৃতি স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
কিছুক্ষণ পর পরই বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নানাবিধ স্লোগান দিতে দিতে ভোটাররা আসেন নগর ভবনে। সকাল থেকে নগর ভবনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিলেও বেলা ১১ টার পর তারা অবস্থান নেন নগর ভবনের ভেতরে।
আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নগরভবনের সামনে অবস্থানকারী বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, এখন পর্যন্ত ইশরাকের শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই তারা ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
শান্তিপূর্ণ এই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নগরের বাসিন্দারা বলছেন, আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট অনুযায়ী ইশরাক হোসেন বৈধ মেয়র। এরপরও কেন তাকে এখনো শপথ করানো হয়নি, তার ব্যাখ্যা চাচ্ছেন তারা।
হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা বলেন, যতদিন ইশরাক হোসেনকে শপথ করানো না হবে, ততদিন তারা নগর ভবনের সামনে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেবেন।
এদিকে, ঢাকাবাসীর এই অবস্থান কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ কর্মচারীরাও। সকাল থেকেই তারা সব কার্যক্রম বন্ধ করে তারাও অবস্থান নেন সেই অবস্থান কর্মসূচিতে। সব গেট বন্ধ করে দেয় তারা।প্রত্যেক গেটেই তালা ঝুলিয়ে দিয়ে নগর ভবনের নীচ তলায় স্টেজ করে অবস্থান কর্মসূচি চালাতে থাকেন তারা। সেই কর্মসূচি ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক এবং সচেতন নাগরিক সমাজের নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন