এক সপ্তাহের মধ্যে ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের লাইসেন্স বাতিল না করা হলে বিটিআরসি ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শিথিলতা দেশের জন্য এক ভয়ানক সংকট ডেকে এনেছে। বিটিআরসি ও সংশ্লিষ্ট অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের ওপর নজরদারি চালিয়ে এসেছে, যা ফ্যাসিস্ট ক্ষমতার প্রত্যক্ষ সহযোগিতা।
রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শুক্রবার (১৬ মে) ‘ফ্যাসিস্টবিরোধী জুলাই নেটওয়ার্ক’ আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমনটা বলেন তিনি। বিটিআরসিকে আওয়ামী স্বৈরাচার মুক্ত করতে এদিন প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে সংগঠনটি।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ফ্যাসিবাদী সহযোগীদের বিচারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন কবি ও বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার।
তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে বিটিআরসিকে ঘিরে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ফরহাদ মজহার বলেন, যে ফ্যাসিস্ট শাসন আমরা অতিক্রম করেছি, তার প্রযুক্তিগত অবকাঠামো ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা এখনো বহাল রয়েছে। ব্যবসা, যোগাযোগ এবং প্রযুক্তির প্রতিটি স্তরে সেই কর্তৃত্ববাদী ছায়া স্পষ্টভাবে বিদ্যমান। এটি মেনে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যদি আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করা হয়ে থাকে, তাহলে তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো, বিশেষ করে যেগুলো বিটিআরসির অনুমোদনে পরিচালিত, সেগুলোর লাইসেন্সও বাতিল করতে হবে। অন্যথায় জনগণ সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবে।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ফরহাদ মজহার বলেন, আমরা অপেক্ষা করব মাত্র সাত দিন। এর মধ্যে যদি কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে আমরা বিটিআরসির সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব এবং তখন লিখিত আদেশ হাতে নিয়েই মাঠ ছাড়ব।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ রোমেল, লেখক জাহিদ জগৎ, মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, গণআকাঙ্ক্ষা মঞ্চের প্রতিনিধি আব্দুল মজিদ অন্তর, জুলাই নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক মো. আবুল কাশেম, লেখক উদয় হাসান, সফটওয়্যার প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম নাহিদ এবং রাজনৈতিক কর্মী দেলোয়ার হোসেন।
মন্তব্য করুন