পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন অঞ্চলসমূহের পশুর চামড়া ও মাংসের গুণগত মান অক্ষুণ্ন রেখে ধর্মীয় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির পশু জবাই এবং মাংস প্রস্তুতের বিষয়ে ইমাম ও মাংস প্রস্তুতকারীদের প্রশিক্ষণ দেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
সোমবার (১৯ মে) ডিএনসিসি স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী এসব কথা জানান।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, পশুর চামড়া বিশেষ করে গরুর চামড়া একটি অন্যতম রপ্তানিযোগ্য জাতীয় সম্পদ। বছরে যে পরিমাণ পশুর চামড়া সংগৃহীত হয় তার বেশিরভাগই আসে পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানিকৃত পশু থেকে। কিন্তু, সংশ্লিষ্ট ইমাম ও মাংস প্রস্তুতকারীদের কোরবানির পশুর চামড়া ছাড়ানোর সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকায় এই জাতীয় সম্পদের গুণগত মান বজায় থাকে না এবং রপ্তানিযোগ্যতা হারায়। এ বিষয়টি মাথায় রেখে এ বছর ডিএনসিসির ১০ টি অঞ্চলেই প্রশাসকের নির্দেশে ইমাম ও মাংস প্রস্তুতকারীদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।
ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের নির্দেশে এ বছর ডিএনসিসির আওতাধীন প্রতিটি পশুর হাটে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকবে এবং তারা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।
কোরবানির পশুর বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা মাথায় রেখে এলাকাভিত্তিক কোরবানির জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে এলাকাবাসীকে পশু কোরবানি দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে যাতে সহজে অল্প সময়ের মধ্যেই পশুর বর্জ্য সঠিকভাবে অপসারণ করা যায়।
মন্তব্য করুন