বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫, ১০:০৯ এএম
আপডেট : ২৬ মে ২০২৫, ১০:১২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

আজ থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে প্রাথমিকের শিক্ষকরা

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা আজ সোমবার (২৬ মে) থেকে টানা পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। এন্ট্রি পদে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ দ্রুত পদোন্নতির দাবিতে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন তারা।

আকস্মিক পূর্ণদিবস কর্মবিরতির কারণে সারাদেশে ১ কোটিরও বেশি শিশু শিক্ষার্থী ক্লাস রুমের বাইরে। এতে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

'সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ'-এর ডাকে আজ থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলন অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। তাদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত পরামর্শক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক পদকে শুরুর পদ হিসেবে ১১ তম গ্রেডসহ তিনটি দাবি।

সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন জানান, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবির বিষয়ে কোনো গুরুত্ব না দেওয়ায় এবং আলোচনার উদ্যোগ না নেওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে এই কর্মসূচিতে গেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তারা শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাননি।

প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিসংখ্যান ২০২৩ অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ১ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ৬৮৫ জন প্রাথমিক শিক্ষার্থী রয়েছে, যার মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ১ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৮১৫ জন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী আগামী ৩ জুন ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হবে। এর আগ পর্যন্ত ছয় কার্যদিবস শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকার কথা থাকলেও শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

অভিভাবকরা এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কিন্ডারগার্টেন বা বেসরকারি বিদ্যালয়ের তুলনায় ছুটি বেশি থাকায় শিক্ষার্থীরা এমনিতেই পিছিয়ে আছে। সামনে ঈদুল আজহার ছুটি এবং তার আগে শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে ক্লাস বন্ধ থাকলে শিখন ঘাটতি আরও বাড়বে।

শিক্ষক নেতারা বলছেন, বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পান, যার মূল বেতন ১১ হাজার টাকা। তাদের দাবি, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতনের তুলনায় বাংলাদেশের শিক্ষকদের বেতন সর্বনিম্ন।

তবে শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা শিক্ষকদের দাবিকে যৌক্তিক মনে করলেও আন্দোলনের সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষাবিদরা। তারা বলেন, শিক্ষকদের দাবি ন্যায্য হলেও করোনাকালীন শিখন ঘাটতি এবং সাম্প্রতিক বিভিন্ন ছুটির কারণে শিক্ষার্থীদের প্রতি বাড়তি মনোযোগ প্রয়োজন ছিল। তার মতে, এ মুহূর্তে নির্বাচিত সরকার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত ছিল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ নিল ডিএমপি কমিশনারের প্রতিনিধি দল

দেশের আকাশে চক্কর দিয়ে গেল ভারতের তিনটি ড্রোন

দ্রুত ডাকসুর ঘোষণা না আসলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি শিবিরের

অগ্রণী ব্যাংক ও ব্রাকনেটের মধ্যে প্রযুক্তি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত

সচিবালয়ে প্রবেশে বাধা অনাকাঙ্ক্ষিত : ইউট্যাব

সাবেক ভূমিমন্ত্রীকে বাসায় পাঠিয়ে দিল পুলিশ

আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা চরমোনাই পীরের

আর কোনো তালবাহানা নয়, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে : খোকন

পুরোনো ভুল থেকে শিখতে চান লিটন

নারীর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ 

১০

সম্মেলন ছাড়াই লক্ষ্মীপুরে ছাত্রদলের ১০ কমিটি

১১

আলোচনা সভায় বক্তারা / ১০ মাসেও সরকারের মনের কথা বোঝা যাচ্ছে না

১২

রাজশাহীতে পরিত্যক্ত ‘রকেট লঞ্চার’ উদ্ধার

১৩

সুব্রত বাইনকে গ্রেপ্তারের পর সেনা সদরের বার্তা

১৪

বগুড়ায় মিডিয়া কাপ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন শহীদ শিমুল একাদশ

১৫

সুব্রত বাইনের উত্থান কীভাবে

১৬

রাবিতে এটিএম আজহারের মুক্তির প্রতিবাদে বামপন্থি ছাত্রসংগঠনের মশাল মিছিলে হামলা

১৭

ভারতীয় পুশইনের ক্ষেত্রে নীরব অন্তর্বর্তী সরকার : ১২ দলীয় জোট

১৮

ঢাকায় তারুণ্যের সমাবেশে বক্তব্য দিতে পারেন খালেদা জিয়া

১৯

গাজায় ‘বর্বরতা’ / প্রকাশ্যে ইসরায়েলকে তিরস্কার করলেন জার্মান চ্যান্সেলর

২০
X