কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০৬:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের হুবহু কপি পেস্ট সাইবার নিরাপত্তা আইন

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন টিআইবি প্রধান নির্বাহী ড. ইফতেখারুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন টিআইবি প্রধান নির্বাহী ড. ইফতেখারুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

সাইবার নিরাপত্তা আইন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের হুবহু কপি পেস্ট হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রধান নির্বাহী ড. ইফতেখারুজ্জামান।

তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম ও কিছু ধারা পরিবর্তন করে নতুন যে সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া করা হয়েছে, সেখানে আদতে কিছুই পরিবর্তন হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে হুবহু কপি পেস্ট করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম ডিজিটাল আইন ও খসড়া আইনের পার্থক্য তুলে ধরেন।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর হয়, তখন আমরা এটা বাতিল করতে বলেছিলাম। এবার যখন সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া বানানো হলো, সেটিও একই রকম রয়েছে। শুধু কিছু অংশে পরিবর্তন আছে, যা পরিষ্কার নয়।

তিনি বলেন, এই আইনে সাইবার নিরাপত্তা না দিয়ে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এই আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে সরকার মেনে নিয়েছে যে, এটা কোনো আইন নয়। এটা একটা কালো আইন। এই আইন যদি এভাবে পাস হয়, তাহলে আবার এটাকে বাতিল করার আহ্বান করব।

টিআইবিপ্রধান বলেন, এই আইনে সাইবারকেন্দ্রিক নিরাপত্তার কথা বললেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য সাজা নির্ধারণ করেছে। মানহানির ক্ষেত্রে প্রচলিত আইনে দণ্ড আছে, তাহলে কেন ডিজিটাল আইনে শাস্তি পেতে হবে? ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে আমি কী মত প্রকাশ করব, সেটা আইন দ্বারা প্রভাবিত করা ঠিক হবে না।

নতুন এই আইনে পুলিশের অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের দক্ষতার প্রশ্ন আছে। যিনি গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেবেন, তাকেও জানতে হবে টেকনিক্যাল বিষয়গুলো। কিছু জায়গায় উভয় দণ্ডের কথা বলা আছে। যদিও সেটি পরিবর্তন করা হয়েছে, তবে শব্দ পরিবর্তন হয়নি। যেটা সাইবার অপরাধের বাইরে সেটা বাতিল করা উচিত এই আইন থেকে, বলেন তিনি।

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, খসড়া এই আইনের প্রক্রিয়া ও বিবেচনা উভয়ই বিতর্কিত। এই সরকারের আমলে একটা ইতিবাচক দিক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যে, কোনো আইন পরিবর্তন বা পরিমার্জনের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হতো। তবে এই আইনের ক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি। শুধু ১৪ দিনের সময় দিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। এখনো সুযোগ আছে মতামত নেওয়ার।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মামলা নিয়ে বিচলিত নন পলক, আইনজীবীকে ট্রায়ালের প্রস্তুতির নির্দেশ

ঘুষকাণ্ডে এবার জামায়াতের সেই পিপির নিয়োগ বাতিল

ভরা মৌসুমেও ইলিশের আকাল

শোকজের জবাব দেবেন ফজলুর রহমান

হত্যাচেষ্টার নতুন মামলায় পলক, রাষ্ট্রদ্রোহে জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার

অস্ত্র উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা সরকারের

প্রিয় মানুষের অভিমান ভেঙে ফেলুন সহজ কিছু উপায়ে

ইসলামী সংগীত গাইলেন ইউটিউবার সাইদুল হাসান

টঙ্গীতে ব্রিজ নির্মাণ ও সড়ক সংস্কারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ 

ভারতে আসছে আর্জেন্টিনা, প্রতিপক্ষ হিসেবে যাদের নাম আলোচনায়

১০

তৌহিদ আফ্রিদির ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে সিআইডি

১১

দেশ এখন স্থিতিশীল, জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত : প্রধান উপদেষ্টা

১২

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীর গোডাউনে মিলল টিসিবির বিপুল তেল

১৩

‘বাদল ভাই, আপনার মৃত্যুতে শোকাহত অনেক’

১৪

টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচসেরার তালিকায় সাকিবের অবস্থান কত

১৫

ডাকসুর ভিপি প্রার্থী আবিদুলকে নিয়ে অপপ্রচার

১৬

বাচসাস পরিবারের সদস্য বাদল আহমেদ আর নেই

১৭

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে চাকরি, সপ্তাহে দুদিন ছুটি

১৮

উপদেষ্টা হোক আর রাজনীতিবিদ, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না : সারজিস

১৯

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ৭ দফা প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

২০
X