কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ত্রয়োদশ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা প্রায় পৌনে ১৩ কোটি, ভোটকেন্দ্র ৪৫ হাজার

নির্বাচন ভবন। ছবি : সংগৃহীত
নির্বাচন ভবন। ছবি : সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে প্রায় পৌনে ১৩ কোটি। ফলে ভোটার অনুযায়ী, ভোটকেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়ছে। আর এ সংখ্যা পৌনে ৩ হাজার বেড়ে প্রায় ৪৫ হাজারে উন্নীত হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, খুব শিগগিরই ভোটার অনুপাতে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণে সমন্বয় সভা হবে। এতে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ ও ব্যবস্থাপনা ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

ইসির তথ্যানুযায়ী, বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৪ জন। ভোটারের ভোটপ্রদানের জন্য মোট ৪২ হাজার ১৪৮টি ভোটকেন্দ্র ব্যবহৃত হয়েছে। অন্যদিকে ২০২৫ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শেষে বর্তমানে সম্ভাব্য ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯৮৩ জন। ফলে অতিরিক্ত ভোটারের জন্য সম্ভাব্য ২ হাজার ৭৮৬টি ভোটকেন্দ্র বৃদ্ধিসহ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৪৪ হাজার ৯৩৪টি ভোটকেন্দ্র প্রয়োজন হতে পারে।

সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে ভোটকেন্দ্র সংস্কারের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

সংস্থাটির উপসচিব দেওয়ান মো. সারওয়ার জাহানের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটকেন্দ্র এবং সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রসমূহের মধ্যে কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাউন্ডারি বা সীমানা প্রাচীর নেই এবং কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে দরজা-জানালা জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাউন্ডারি বা সীমানা প্রাচীর নেই এবং সেগুলোতে ছোটখাটো মেরামত/সংস্কার প্রয়োজন। তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে নিজস্ব অর্থায়নে সংস্কার বা মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত হলে সে অনুপাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনেরও সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থাটি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনসারের পাঁচ লাখ ১৬ হাজার সদস্য, কোস্টগার্ডের ২ হাজার ৩৫০ জন, বিজিবির ৪৬ হাজার ৮৭৬ সদস্য, পুলিশের (র‌্যাবসহ) থাকবে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন, অর্থাৎ মোট সাত লাখ ৪৭ হাজার ৩২২ জন সদস্য ভোটের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল।

আনসারের জন্য জনপ্রতি ৬৩৭থেকে এক হাজার টাকা, কোস্টগার্ড ৬৩৭ থেকে এক হাজার ৮২০ টাকা, বিজিবি ৪০০ থেকে এক হাজার ২২৫ টাকা এবং পুলিশ ৪০০ থেকে এক হাজার ৬০৬ টাকা জনপ্রতি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র বাড়লে নির্বাচন পরিচালনা ব্যয়ও বাড়বে। এক্ষেত্রে ব্যয় নির্বাহ করা হবে বরাদ্দ থেকেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অনুমতি ছাড়াই নারীর ছবি অনলাইনে পোস্ট, সাড়ে ৬ লাখ টাকা জরিমানা

যোগদান করছেন চট্টগ্রামের নতুন ডিসি সাইফুল ইসলাম

একসঙ্গে বেড়ে ওঠা, বিদেশে কাজ ও মৃত্যুর পরও পাশাপাশি দাফন

বানার নদীর স্রোতে ভেসে গিয়ে দুই নারীর মৃত্যু

হাসানাত আব্দুল্লাহর নামে মামলা

স্মার্টফোনে থাকা সব ছবি গোপনে দেখবে ফেসবুক, কীভাবে

নর্থ সাউথের সেই শিক্ষার্থীর দোষ স্বীকার

ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবিতে নয়াপল্টনে পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ

জাপানের এনইএফ বৃত্তি পেল বাংলাদেশের ২০ শিক্ষার্থী

সাংবাদিককে মারধরের ঘটনা নিয়ে বিএনপির বিবৃতি

১০

রাজধানীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার

১১

ঘরে এসেছে নতুন অতিথি

১২

পুরান ঢাকায় ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল জবি ছাত্রদল নেতার

১৩

দীর্ঘদিন অনাদায়ী ঋণ অবলোপন, আদায়কর্মী পাবেন প্রণোদনা

১৪

মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে খেলাধুলার বিকল্প নেই : জামায়াত নেতা শাহজাহান

১৫

যশোরে ব্যতিক্রম আয়োজনে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১৬

ঘুম ভাঙলেও প্রস্রাব চেপে শুয়ে থাকেন? অজান্তেই হচ্ছে ভয়াবহ ক্ষতি

১৭

ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান নিয়ে যা বললেন সালাহউদ্দিন

১৮

আগুন নেভাতে ২৬ ঘণ্টা, কারণ জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৯

বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিককে মারধর, মোবাইল ভাঙচুর

২০
X