কিশোরগঞ্জ জেলায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (২০ জুলাই) ঐতিহাসিক শহীদি মসজিদে এক সাধারণ সভায় এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মাওলানা শাব্বির আহমাদ রশীদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি বশীরুল্লাহ এবং কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারী।
সভার সর্বসম্মতিক্রমে মাওলানা শাব্বির আহমাদ রশীদকে সভাপতি ও মাওলানা হিফজুর রহমান খানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, বিশ্ব বাস্তবতায় জাতিসংঘ একটি ব্যর্থ সংস্থায় পরিণত হয়েছে। ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, আরাকান এবং আফ্রিকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় নীরব ভূমিকা তাদের অকার্যকর প্রমাণ করেছে, তারা নিরপেক্ষ নয়। বাংলাদেশের মতো একটি শান্তিপূর্ণ দেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় খোলার যৌক্তিকতা নেই, বরং এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তাই অবিলম্বে এই অফিসের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে সংঘটিত শাপলা চত্বর, ২০২১-এর আন্দোলনসহ সব খুন, গুম ও নির্যাতনের নিরপেক্ষ তদন্ত এবং বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা এসবের বিচার কিসাস হিসেবে চাই।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন মাওলানা আহমাদুল্লাহ, মাওলানা শেরজাহান, মাওলানা আনজার শাহ তানিম, মাওলানা এরশাদুল হক, মাওলানা নূরুল আলম, মাওলানা শুআইব বিন আব্দুর রওফ, মাওলানা ইলিয়াস কাসেমী, মাওলানা আব্দুল্লাহ সাদেক, মাওলানা তানভির প্রমুখ।
সভায় কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-খতিব, মাদ্রাসার মুহতামিম ও শিক্ষকসহ বিপুল সংখ্যক আলেম-ওলামা অংশগ্রহণ করেন। নবনির্বাচিত নেতারা দ্বীনি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন