রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৫, ১০:১৫ পিএম
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

মাহরিন চৌধুরীর সমাধিতে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা

নিহত শিক্ষিকা মাহরিন চৌধুরীর সমাধিতে শ্রদ্ধা। ছবি : সংগৃহীত
নিহত শিক্ষিকা মাহরিন চৌধুরীর সমাধিতে শ্রদ্ধা। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত শিক্ষিকা মাহরিন চৌধুরীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিমানবাহিনী।

বুধবার (২৩ জুলাই) নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার বগুলাগাড়ী গ্রামে বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি এর পক্ষ থেকে এই শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়।

বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

মানবিকতা, সাহসিকতা ও দায়িত্ববোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরী। নিজের জীবন উৎসর্গ করে যেভাবে তিনি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রক্ষা করেছেন, তা চিরকাল সকলের হৃদয়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এর আগে সোমবার (২১ জুলাই) বিমান বিধ্বস্তের পর আগুনের মধ্যে ক্লাসরুমের ভেতর থেকে শিশু শিক্ষার্থীদের একে একে বাইরে নিয়ে আসেন মাহরিন চৌধুরী। প্রায় ২০ শিক্ষার্থীকে বাইরে বের করে আনতে পারলেও নিজে সময়মতো বের হতে পারেননি। এরপর মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন তিনি।

এ ঘটনায় উদ্ধার করে তাকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান। তার শরীরের ১০০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল বলে জানান চিকিৎসক।

শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের আগে স্বামী মনছুর হেলালের সঙ্গে কথা বলেন এই সাহসী শিক্ষিকা।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে মনছুর হেলাল বলেন, ‘বাচ্চারা যেদিক দিয়ে বের হবে, ওখানে সরাসরি এসে বিমানটি ক্রাশ করছে, তারপরে এক্সপ্লোশন হয়ে ভেতরে ঢুকে গেছে। ঘটনার পর মাহরিন কিছু বাচ্চাকে বের করে নিয়ে আসে।’

আইসিউতে মাহরিনের শেষ কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আইসিইউতে আমি তাকে বললাম, তুমি কেন এ কাজ করতে গেলা? সে বলল, আমার বাচ্চারা আমার সামনে সব পুড়ে মারা যাচ্ছে, আমি এটা কীভাবে সহ্য করি। ও (মাহরিন) সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে, কিছু বাচ্চা বের করছে, আরও কিছু বাচ্চা বের করার চেষ্টায় ছিল। ঠিক এমন সময় বিকট শব্দে আরেকটি বিস্ফোরণ হয়। আর তাতেই তার পুরো শরীর পুড়ে যায়।’

মনছুর হেলাল বলেন, ‘লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার আগে আমাকে আগে বলল, আমার ডান হাতটা শক্ত করে ধরো। হাত ধরা যায় না, সব পুড়ে শেষ। ও বলল, তোমার সঙ্গে আর দেখা হবে না।’

স্বামীর হাত ধরে মাহরিন তখন বলছিলেন, ‘আমার বাচ্চাদের দেখো।’ জবাবে মনছুর হেলাল বলেন, ‘তোমার বাচ্চাদের এতিম করে গেলা। জবাবে সে বলে, কী করব, ওরাও তো আমার বাচ্চা, সবাই পুড়ে মারা যাচ্ছে, আমি কীভাবে সহ্য করব?’

মনসুর হেলাল আরও বলেন, ‘ওকে বাঁচাতে পারিনি। আমার দুটি ছোট ছোট বাচ্চা এতিম হয়ে গেল।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিজ ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

স্বামী নয়, প্রেমিকের সঙ্গে থাকছেন শিল্পা শেঠি!

ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ 

টোডা বিলে লাল শাপলার সমাহার

নাসুমকাণ্ডে এবার মুখ খুললেন মুমিনুল

গ্রেপ্তার শত শত কোরিয়ানদের ‘অবৈধ এলিয়েন’ আখ্যা দিলেন ট্রাম্প

পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

কাদের সিদ্দিকীর বাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা

এত উষ্ণ যে আর টিকছে না, ভেতর থেকে ক্ষয়ে যাচ্ছে

১০

জাহ্নবীকে নিয়ে মশকরায় শামিল হয়ে বিপাকে সোনম

১১

চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে ইংরেজিতে দক্ষ হবেন যেভাবে 

১২

সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবার মায়ের মুখ দেখলেন মেয়ে 

১৩

চাঁদপুরে কাঠের মসজিদ ঘিরে মুগ্ধতার শেষ নেই দর্শনার্থীদের

১৪

নারী বাইকারদের ইভেন্ট আয়োজন করায় ক্যাফে সিলগালা

১৫

দুই ঘণ্টার বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার নয় : জাপানি মেয়র

১৬

উপুড় হয়ে ঘুমান? জানুন এতে শরীরে কী হয়

১৭

যেসব ফল নিয়মিত খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে

১৮

ঘুমের মাঝে বারবার জেগে উঠছেন? হতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি

১৯

পাকিস্তানে বন্যায় উদ্ধারকারী নৌকা ডুবে ৫ জনের প্রাণহানি

২০
X