

লিবিয়ার সেনাপ্রধান মোহাম্মদ আল-হাদ্দাদের বহনকারী বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় তুরস্কে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানান, বিমানটি স্থানীয় সময় রাত ৮টা ১০ মিনিটে আঙ্কারার এসেনবোয়া বিমানবন্দর থেকে ত্রিপোলির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। উড্ডয়নের প্রায় ৪০ মিনিট পর বিমানটির সঙ্গে রেডিও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আঙ্কারার হায়মানা জেলার কেসিককাভাক গ্রামের কাছে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। ডাসল্ট ফ্যালকন-৫০ মডেলের জেটটি হায়মানার আকাশসীমায় থাকাকালে জরুরি অবতরণের অনুমতি চেয়েছিল, এরপরই সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের যোগাযোগ দপ্তরের প্রধান বুরহানেত্তিন দুরান জানান, বিমানটি আকাশযান নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে বৈদ্যুতিক ত্রুটির কথা জানিয়ে জরুরি অবতরণের অনুরোধ করেছিল। এরপর বিমানটিকে পুনরায় এসেনবোয়া বিমানবন্দরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় এবং অবতরণের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছিল। তবে জরুরি অবতরণের জন্য নিচে নামার সময় বিমানটি রাডার থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে যায়।
স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, হায়মানার আকাশে হঠাৎ এক বিস্ফোরণের মতো ফুলকি ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে তুরস্কের বিচারমন্ত্রী ইয়িলমাজ তুনচ জানান, আঙ্কারার প্রধান সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয় এই দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আল জাজিরাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এক তুর্কি কর্মকর্তা বলেন, তদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে লিবিয়ার সেনাপ্রধানের বিমান দুর্ঘটনায় কোনো ধরনের নাশকতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে যান্ত্রিক ত্রুটিকেই দায়ী করা হচ্ছে।
লিবিয়ার সরকার অব ন্যাশনাল ইউনিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার তদন্তে তুর্কি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে একটি প্রতিনিধিদল আঙ্কারায় পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন