বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ঘটনায় রুজুকৃত মামলার মধ্যে ১৫টি মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে হত্যা মামলা ৫টি এবং অন্য ধারায় ১০টি।
সোমবার (২৮ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চার্জশিটকৃত ৫টি হত্যা মামলার মধ্যে ৩টি মামলা শেরপুর ও ১টি কুড়িগ্রাম জেলার এবং ১টি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের। অন্যান্য ধারার ১০টি মামলার মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ১টি ও বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ১টি এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩টি, সিরাজগঞ্জের ২টি ও পাবনা জেলার ১টি এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের তদন্তাধীন ২টি।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকালে দায়েরকৃত মামলার যথাযথ তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ মামলাসমূহ তদারক করছেন। রুজুকৃত অন্যান্য সকল মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশ পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এদিকে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২৪ জমা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার দুপুরে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রস্তুতসংক্রান্ত জাজেস কমিটির সদস্যরা রাষ্ট্রপতির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন।
এ সময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ‘বার্ষিক প্রতিবেদন প্রস্তুতসংক্রান্ত জাজেস কমিটির চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, কমিটির সদস্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম, বিচারপতি কাজী জিনাত হক, বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদনে বিচার বিভাগের সার্বিক কার্যক্রম, উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ এবং বিচারিক কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরা হয়, যা বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করে থাকেন।
মন্তব্য করুন