শ্রীশ্রী রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম পরিচালনা এবং সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে অপর্ণা রায় দাসকে সভাপতি এবং মিল্টন বৈদ্যকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের নতুন আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে জাতীয়তাবাদী-মনা সনাতনীদের উদ্যোগে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) এবং বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। পরে যথাসময়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম বহুদিন ধরেই ঢাকার ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার, মহাসচিব তরুণ দে, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার, অপর্ণা রায় দাস, রমেশ দত্ত, সুভাষ চন্দ্র দাস, মিল্টন বৈদ্য, মৃণাল কান্তি বৈষ্ণব, গৌরাঙ্গ সমাদ্দার, রামপ্রসাদ পাল, বিশ্বজিৎ ভদ্র, সমীর সরকার, সুবীর দত্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন রমনা কালী মন্দির কেবল একটি ধর্মীয় উপাসনালয় নয়, বরং এটি বাঙালি হিন্দু সমাজের আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক শক্তির কেন্দ্র। এ প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিচালনা নিশ্চিত করতে একটি শক্তিশালী ও প্রতিনিধিত্বমূলক পরিচালনা কমিটি অপরিহার্য। নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়ে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রমের ঐতিহ্য রক্ষা, উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, দুর্গাপূজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব যথাযথ মর্যাদায় পালন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সনাতন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে নবগঠিত কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সভা শেষে নবনির্বাচিত সভাপতি অপর্ণা রায় দাস বলেন, এ দায়িত্ব আমার জন্য গৌরবের। সকলের সহযোগিতায় আমরা মন্দির ও আশ্রমকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।
সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বৈদ্য বলেন, এটি শুধু একটি কমিটি নয়, বরং আমাদের সনাতনী সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব।
বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র দাস প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন