রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১৭ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, রোববার রাত ১টার মধ্যে রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এবং কুমিল্লা অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে দেশের উত্তরাঞ্চলের ৪টি প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে এবং এতে বন্যার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। বন্যার ঝুঁকি রয়েছে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল। যেখানে পানির স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
রোববার এ তথ্য জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
সংস্থাটির বিশেষ বার্তায় বলা হয়, রোববার সকাল ৯টা থেকে সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা পর্যন্ত অথবা এ সময়ের কাছাকাছি দেশের মধ্যে এবং উজানের অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষ বার্তায় আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় এবং ভারতের উজানের অংশে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে ১১৮ মিলিমিটার, নীলফামারীর ডালিয়ায় ৮৫ মিলিমিটার এবং কুড়িগ্রামের পাটেশ্বরীতে ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে ২৬১ মিলিমিটার, কোচবিহারে ১৯০ মিলিমিটার, জলপাইগুড়িতে ১৭২ মিলিমিটার এবং শিলিগুড়িতে ১৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া অরুণাচল প্রদেশের পাসিঘাটে ৮৯ মিলিমিটার এবং সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জনসাধারণকে সতর্ক করে জানিয়েছে, নদীসংলগ্ন এলাকায় বসবাসরত মানুষদের পানির দ্রুত বৃদ্ধি ও বন্যার ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে জরুরি প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বলা হয়েছে, যাতে প্রয়োজন হলে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো যায়।
মন্তব্য করুন