প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করাটাকে জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। আমার বয়স ৭৩ বছর। আমার আর চাওয়ার কিছু নেই। দেশের জন্য কিছু করার এটাকে জীবনে শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এক সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন। সংলাপে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, দেশের জন্য কিছু করার শেষ সুযোগ হিসেবে আমি এই দায়িত্ব নিয়েছি। একটা সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়াই আমার লক্ষ্য। আমার ইসির কমিটমেন্টও তাই। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা অপরিহার্য।
তিনি জানান, প্রবাসী, সরকারি চাকরিজীবী ও হাজতিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এতে হাইব্রিড ও আইটি-সাপোর্টেড পদ্ধতি ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সিইসি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দেখা গেছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ভোটের আগ্রহ বেড়েছে। নারী-পুরুষ ভোটারের পার্থক্য ৩০ লাখ থেকে অনেকটা কমে এসেছে। আমাদের লক্ষ্য—সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা।
চলমান প্রযুক্তিনির্ভর চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এআইএর অপব্যবহার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নানা দিক সামলানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এক ক্রান্তিকালে দায়িত্ব নিয়েছি। আমার বয়স ৭৩ বছর—এই নির্বাচনই জীবনের শেষ সুযোগ। তাই সব শ্রেণিপেশার মানুষের সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— ইসির সাবেক সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব খন্দকার মিজানুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব মো. নূরুজ্জামান তালুকদার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক উপসচিব মিহির সরওয়ার মোর্শেদ, সাবেক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (ঢাকা) শাহ আলম, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী, সাবেক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ফেমার প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক উপসচিব মিছবাহ উদ্দিন, সাবেক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মীর মো. শাহজাহান।
মন্তব্য করুন