

ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের একটি ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠন এখন সময়ের দাবি বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার নেতারা।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার জাতীয় কনভেনশনে তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
কনভেনশনে দেশের চলমান রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বাস্তবতায় আপামর সংখ্যালঘু-আদিবাসী জনগোষ্ঠী এবং তাদের বিভিন্ন সংগঠনের ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ ছাড়া সংখ্যালঘু-আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহকে মোকাবিলা এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ঐক্যমোর্চাভুক্ত সব সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সমন্বয়ে একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিওর সভাপতিত্ব এবং বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের (একাংশ) নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দের সঞ্চালনায় এতে ঐক্যমোর্চাভুক্ত ৪৩টি সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কনভেনশনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ঐক্যমোর্চার যুগ্ম সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ।
আলোচনায় অংশ নেন, শ্রীশ্রী ভোলানন্দগিরি আশ্রম ট্রাস্টের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, রঞ্জন কর্মকার; বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সন্তোষ শর্মা, কাজল দেবনাথ; বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, অনুভব বাংলাদেশ’র অতুল চন্দ্র মণ্ডল, বাংলাদেশ সনাতন পার্টির অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায়, সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের সুস্মিতা কর, বাংলাদেশ মতুয়া মহাসংঘের সাগর সাধু ঠাকুর, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতির সোমনাথ দে, বাংলাদেশ হিন্দু লীগের শংকর সরকার, বিশ্ব হিন্দু ফেডারেশনের রঘুপতি সেন, শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত সেবাসংঘের শ্যামল রঞ্জন মণ্ডল, হিন্দু সম্প্রদায়ের বীরেন অধিকারী প্রমুখ।
মন্তব্য করুন