কোস্টগার্ডের বহরে যুক্ত হলো দুটি ইনশোর পেট্রোল ভেসেল, দুটি টাগ বোট ও একটি ফ্লোটিং ক্রেন। বুধবার (২১ জুন) চট্টগ্রামের পতেঙ্গা কোস্টগার্ড বার্থে এই পাঁচ সমুদ্রগামী নৌযানের কমিশনিং করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে কোস্টগার্ডের বহরে সংযুক্ত হয়েছে ১৫৪টি আধুনিক নৌযান। ভবিষ্যতে এর দায়িত্ব আরও বাড়বে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলা হচ্ছে কোস্টগার্ডকে।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে কোস্টগার্ড হবে নিজস্ব জনবলে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি স্মার্ট বাহিনী। দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কোস্টগার্ডকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাই।
কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির ফলেই নিজস্ব সমুদ্র এলাকা দাবিসংবলিত ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ প্রণীত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কোস্টগার্ড প্রতিষ্ঠার সোপান রচনা করেন। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৎকালীন বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় মহান জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বিল’ উত্থাপন করেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এ বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়। পরে এ বাহিনীতে নতুন নতুন প্ল্যাটফর্ম ও অবকাঠামো সংযোজিত হয়েছে। এর ফলে বাহিনীর অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে ব্যাপক গতি সঞ্চার হয়েছে এবং অর্জিত হয়েছে নানা সাফল্য।
মন্তব্য করুন