কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কোনো সন্ত্রাস যাতে না হয়, শান্তি যেন থাকে : প্রধানমন্ত্রী

বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত
বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো ধরনের সন্ত্রাস যেন না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে শান্তি বজায় রাখাই তার চাওয়া। সোমবার (৩০ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে জাতীয় ইমাম সম্মেলনে এ নির্দেশনা দেন তিনি। এ ছাড়া দেশের তরুণ প্রজন্ম যেন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকে সম্পৃক্ত না হয়, সেদিকে ইমামদের দৃষ্টি রাখতে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না, সেটা আমরা বিশ্বাস করি। কোনো ধরনের সন্ত্রাস যেন না হয়। তৃণমূল পর্যায়ে যেন শান্তি থাকে, সেটাই চাই। বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আপনাদের দোয়া চাই।

ফিলিস্তিন প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বব্যাপী যে যুদ্ধ চলছে ফিলিস্তিনে তাদের ওপর যে আক্রমণ, ছোট্ট শিশুদের যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে- আমরা আর তা চাই না। ফিলিস্তিনে বাংলাদেশ থেকে সহায়তা পাঠিয়েছি। পৃথিবীর সব রাষ্ট্রপ্রধানদের আমি অনুরোধ করেছি যুদ্ধ বন্ধের পদক্ষেপ নিতে।

তিনি বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি, আমরা শান্তি চাই। অশান্তি বা যুদ্ধ চাই না। যুদ্ধের ভয়াবহতা আমরা জানি। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম সহনশীলতার ধর্ম। এটা আমাদের নবী শিখিয়েছেন। তার বিদায় হজের বাণী আমরা অনুসরণ করি। আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকে সম্পৃক্ত না হয়, আপনারা (ইমাম) সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই বাংলাদেশে অন্যান্য ধর্মের লোকও আছে। তারাও যেন নিজ নিজ ধর্ম যথাযথভাবে পালন করতে পারে। কেউ যদি অন্যায় করে, আল্লাহ বিচার করবেন। আমরা বলতে পারি না, কে মুসলমান, কে মুসলমান না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই আমাদের হাজিরা যেন কষ্ট না পায়। হজের ইমিগ্রেশন সহজ করতে ব্যবস্থা নিয়েছি। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দিয়েছি। ৩৫ হাজার মসজিদে পাঠাগার করে দিয়েছি। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছি।যেন ওলামারা বিপদে পড়লে সহযোগিতা নিতে পারে। জাকাত তহবিল প্রণয়ন আইন করেছি।

এ অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইমাম ও বিশ্বজয়ী হাফেজদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ষষ্ঠ পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের মসজিদ-ই-নববীর ইমাম শায়খ ড. আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল বুয়াইজান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নাজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ কাফিলুদ্দিন সরকার সালেহী, ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাদকসেবির হামলায় পুলিশের এসআই আহত

লঞ্চে দুই তরুণীকে মারধরের ঘটনায় মামলা

ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার

দেশের প্রথম বন খেজুর গাছের সন্ধান দিনাজপুরে

ইতালি পালেরমোতে দুই বাংলাদেশি আটক

বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

আ.লীগকে বিচারের আওতায় আনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল গণসংহতি আন্দোলন

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল সোমবার

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় বিশ্বকাপ স্থগিত

ইবিতে ‘ডি’ ইউনিটের ফলাফল ঘোষণা

১০

পা দিয়ে লিখে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলেন মানিক

১১

‘কেউ খুশি হয়ে কিছু দিলে সেটা চাঁদাবাজি নয়’

১২

নাটোরে বিএনপির মতবিনিময় সভায় গুলি ছোড়ার অভিযোগ

১৩

‘হাসিনার সময় ওয়াজ নিষিদ্ধ ছিল’

১৪

হোটেল কর্মচারীর গায়ে গরম মাড় নিক্ষেপ, অতঃপর...

১৫

রাফাল ধ্বংসের বিষয়ে যা বলল ভারতের বিমানবাহিনী

১৬

চাঁদা না পেয়ে চায়ের দোকানে জবি ছাত্রদল নেতার তালা

১৭

ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে দুজনের মৃত্যু

১৮

আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে শরীয়তপুরে মিষ্টি বিতরণ

১৯

মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকো জিতে শিরোপার দোরগোড়ায় বার্সা

২০
X