সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আছে বলেই নানাভাবে সংস্কৃতির চর্চা চলছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ১৯ দিনব্যাপী যাত্রাপালা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যাত্রার মূল আয়োজনের কারিগর তিনি। তিনি শিল্পের সবচক্ষেত্রেই কাজ করছেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আছে বলেই সংস্কৃতির চর্চা চলছে। ১২০টি দলকে একত্রিত করে তাদের পালা করার জায়গা করে দেওয়া এটা বিশাল বড় বিষয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এই উৎসব আয়োজনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমরা পরের বছর প্রত্যেক জেলায় ৪৯২টি উপজেলায় যাত্রা উৎসবের আয়োজন করব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় অবশ্যই পাশে থাকবে। এই সরকার ক্ষমতায় না আসলে আবার মৌলবাদীরা আসবে, তারা আবার সংস্কৃতিকে ধ্বংস করবে।
স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ।
‘শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ’ গড়ার অভিলক্ষে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাব আমরা উন্নতির শিখরে’ এই প্রতিপাদ্যে ‘গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য দেশব্যাপী শিল্পযজ্ঞ পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। লোক ঐতিহ্যের এক সমৃদ্ধ রূপায়ব যাত্রাপালা। ঐতিহ্য, চিন্তা, মূল্যবোধকে ধারণ করেই যাত্রাপালার বিস্তার। আবহমান বাংলার চিরায়ত লোকসংস্কৃতির অন্যতম শাখা যাত্রাপালা বরাবরই গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত। তৃণমূল মানুষের অন্তরে বাস্তবিক উন্নয়নের এক দর্পণ স্বরূপ কাজ করে যাত্রাপালা।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশব্যাপী ১২০টি যাত্রাদলের পরিবেশনায় ৪২টি জেলায় ০২ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ‘গণজাগরণের যাত্রাপালা উৎসব ২০২৩’। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ঢাকায় ০৫ দিনের যাত্রাপালা ১ দিন বাড়ানোর ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কারাবাস নিয়ে ‘নিঃসঙ্গ লড়াই’ যাত্রাপালা ৭ নভেম্বর সমাপনী দিনে অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন