পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবির আন্দোলনে সহিংস ঘটনায় নারীপক্ষ আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবাদ জানিয়েছে। শ্রমিকরা যাতে তাদের ন্যায্য দাবিতে সোচ্চার এবং আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারে তার জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, শ্রম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে নারীপক্ষ।
গত ২৬ অক্টোবর চান্দরা কালিয়াকৈর এলাকার পোশাক কারখানার শ্রমিকরা তাদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমানোর দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় মিরপুর, আশুলিয়া, সাভার এবং গাজীপুর এলাকার পোশাক কারখানার শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে।
গত ৩০অক্টোবর ডিজাইন এক্সপ্রেস লি. গাজীপুরের ইলেকট্রিশিয়ান রাসেল হাওলাদার (২৬) এই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এরপর থেকে এই আন্দোলন আরও তীব্রতর হয়। এতে অনেক শ্রমিক আহত হন।
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি এবং দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিকে নারীপক্ষ অত্যন্ত যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত বলে মনে করছে। নিত্যপণ্যসহ সকলপ্রকার দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দেশের সাধারণ মানুষের জীবন এখন ভয়াবহরকম বিপর্যস্ত। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে পোশাক শ্রমিক, শ্রমজীবী-মেহনতিসহ স্বল্প আয়ের মানুষরা। এহেন পরিস্থিতিতে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিটি দ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন অপরিহার্য।
জীবনমানের সাথে সঙ্গতি রেখে উপযুক্ত মজুরির দাবিতে আন্দোলনকারী শ্রমিকরা সহিংসতা, বিভিন্নভাবে হেনস্থা, হুমকি-হয়রানির শিকার হচ্ছে। এমনকি তাদের প্রাণ দিতে হচ্ছে।
নারীপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ন্যায্য দাবির জন্য সংগঠিত হওয়া এবং প্রতিবাদ করা প্রতিটি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। তাদের উপযুক্ত মজুরি পাওয়ার অধিকার আছে সেই সাথে নির্যাতন- নিপীড়ন থেকে সুরক্ষা দিতে রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বর্তমান রাজনেতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে কোনো স্বার্থান্বেষী চক্র যেন এই আন্দোলনকে ভিন্নখাতে চালিত করে শ্রমিকের স্বার্থকে বিপন্ন করতে না পারে এবং শ্রমিকরা যেন সুশৃংখল আন্দোলন করে সেই বিষয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলোকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শ্রমিকরা যেন তাদের ন্যায্য দাবিতে সোচ্চার হতে পারে এবং আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারে তার জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
মন্তব্য করুন