জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীদের ভূমিকা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
সফররত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে লাক্রোয়ার এবং ব্যবস্থাপনা কৌশল, নীতি ও কমপ্লায়েন্স বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ক্যাথেরিন পোলার্ড রোববার (২৫ জুন) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শান্তিরক্ষীদের নিয়মিত এবং কাস্টমাইজড প্রি-ডিপ্লয়মেন্ট প্রশিক্ষণ দিতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট ফর পিস সাপোর্ট অপারেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (বিআইপিএসওটি) প্রতিষ্ঠা করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে জাতিসংঘের প্রচেষ্টার প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে জানান, তিনি লক্ষ্য করেছেন, নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি কার্যকর শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। একই সঙ্গে জাতিসংঘের জেন্ডার কৌশল অনুসারে, বাংলাদেশ নারী শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা বাড়াচ্ছে।
আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা ও পুলিশ অবদানকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রণী অবস্থানের প্রশংসা করেন। তারা নারী শান্তিরক্ষী বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা ও প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বৈশ্বিক শান্তির লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার জন্য বাংলাদেশের আশ্বাসকে স্বাগত জানান।
মন্তব্য করুন