ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ৫১ স্থানে রাস্তার ওপর গাছ উপড়ে পড়ে। পড়ে যাওয়া গাছ অপসারণ করেছে ফায়ার সার্ভিস। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো ফায়ার সার্ভিসের এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে আজ (১৭ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দুর্যোগপ্রবণ ৫১টি স্থানে রাস্তার ওপর গাছ উপড়ে পড়ে। এসব গাছ দ্রুত সময়ে অপসারণ করে ফায়ার সার্ভিস।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৬টি ও বরিশাল বিভাগের ২১টি স্থানে গাছ পড়ার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ফায়ার স্টেশনসমূহ এসব গাছ অপসারণ করে রাস্তা যান চলাচলের উপযোগী করে। এসব ঘটনায় হতাহতের কোনো সংবাদ পায়নি ফায়ার সার্ভিস।
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করার পর দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি বর্তমানে পটুয়াখালী ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে সর্বশেষ আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার বিকেল ৩টায় উপকূল অতিক্রম করেছে। একই সঙ্গে দুর্বল হয়ে বর্তমানে পটুয়াখালী ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
মন্তব্য করুন