সাংবাদিকতায় বৈশ্বিক ও দেশীয় প্রবণতা ও চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা এবং সেগুলোকে মোকাবিলার উপায় নিয়ে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) এক সেমিনারের আয়োজন করে।
'দ্য ট্রেন্ডস অব কনটেম্পরারি জার্নালিজম : লোকাল গ্লোবাল ইন্টারঅ্যাকশন' শীর্ষক শিরোনামের এই সেমিনারের আয়োজন করে মিডিয়া ও ম্যাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ।
সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন- ডিবিসি টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ ও সিইও মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম এবং দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন এআইইউবির কলা ও সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম এবং এমএমসি বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া। বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আফরোজা সোমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ মাসুদ চৌধুরী।
গণমাধ্যমে প্রযুক্তির প্রভাবের গুরুত্ব তুলে ধরে এআইইউবির উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান বলেন, নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে চলতে দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরি করতে হবে। এ জন্য একাডেমিক কার্যক্রমের সঙ্গে নতুন নতুন প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
ডিবিসি টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ ও সিইও মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম বাংলাদেশের সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন শিল্পে প্রযুক্তি কীভাবে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাল্টি টাস্কিং শেখার উপর বিশেষ জোর দিয়ে বলেন, এখন আর আগের মতো শুধু রিপোর্টিং বা শুধু এডিটিং বা শুধু ক্যামেরার কাজ জানাটা যথেষ্ট নয়। আজকের যুগে সাংবাদিকদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে সবই একসঙ্গে জানতে হবে।
কালের কণ্ঠ’র সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী মিডিয়ার রূপান্তরের সময়ে সাংবাদিকদের নতুন দক্ষতা বিকাশে জোর দিয়ে বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ধীরে ধীরে দর্শক এবং পাঠকের মনে জায়গা করে নিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া, নিউ মিডিয়া, মাল্টিমিডিয়া স্টোরি টেলিং এবং ডিজিটাল স্টোরি টেলিং এখন বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে।
মন্তব্য করুন