আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আবারও উঠে এসেছে বাংলাদেশ ইস্যু। সরকার গঠনের পর যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে সমর্থন করবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন দাবির বিষয়টি উঠে আসে প্রেস ব্রিফিংয়ে। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন এবং সহিংসতা এড়াতে আহ্বান জানাই। সবাই যাতে সহিংসতা বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই প্রাক-নির্বাচন এবং নির্বাচনী পরিবেশে অবাধে অংশগ্রহণ করতে পারে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। এ ছাড়া সরকারকে সব অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার জন্যও আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের ফরেন প্রেস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়ক জন কিরবি বলেন, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করি; তা বাস্তবায়নে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব। আমরা অন্য দেশের নির্বাচনে কোনো পক্ষ নিই না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এই নীতির কোনো পরিবর্তন হবে না। আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক প্রত্যাশা পূরণে আমরা যা করতে পারি তা মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও তার দল অব্যাহত রাখবে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে, রাশিয়ার এমন অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে জন কিরবি বলেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাশিয়ানরাও জানে যে এটি মিথ্যা। এটি শুধু উচ্চমানের রুশ অপপ্রচার। তারা জানে এটা মিথ্যা। বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, আমরাও তাই চাই এবং তা হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এটাই রাষ্ট্রদূত ও তার দল করছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত (পিটার হাস) এবং তার টিম আগে যেভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেইভাবে তারা বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, বিরোধী দল ও সরকারসহ সমাজের সব স্তরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন। বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক প্রত্যাশা পূরণ এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে যেন সম্মান করা হয় তা নিশ্চিতে তাদের কঠোর পরিশ্রম অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন