পুলিশ বসে নেই। মানুষের নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে। তবে নিজের জিনিসপত্র ও শরীরের নিরাপত্তা নিয়ে নিজেরই আগে ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) খ. মহিদ উদ্দিন।
সোমবার (৩ জুলাই) দুপুরে মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান তালুকদার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন ছিনতাইকারীর বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এর আগে শনিবার ভোরে ফার্মগেটে খুন হন মনিরুজ্জামান।
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘ব্যক্তিগত ছোটখাটো জিনিসপত্র ও নিজের শরীরের নিরাপত্তা প্রত্যেককে তার নিতে হবে। রাষ্ট্রের অবশ্যই নিরাপত্তার দায়িত্ব আছে। কিন্তু কেউ যদি রাতের বেলায় মুঠোফোনে কথা বলে... অনেকে গাড়ির মধ্যে বসে কথা বলে কিন্তু মুঠোফোনটি বাইরে রাখেন। এতে টান দিয়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তেজগাঁও থানা–পুলিশ প্রথমে রাব্বিকে (২১) গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ধারালো ছুরি ও ছিনতাই করা মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লিটন (২১) নামের অপর এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজনই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
একই ঘটনায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগ কামরুল নামের আরও এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। সেও হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে তাকে আক্রমণ করে তিন ছিনতাইকারী। এ সময় পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামান তাদের বাধা দেন। তাকে ছুরিকাঘাত করে মানিব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরে ছিনতাইকারীরা পশ্চিম দিক দিয়ে পালিয়ে যায়। মোহাম্মদপুর গিয়ে তারা আলাদা হয়ে যায়।
সাংবাদিকরা জানতে চান, ঈদের ছুটিতে টহল পুলিশ, চেকপোস্ট বা গোয়েন্দা কার্যক্রমে ব্যত্যয় থাকায় ছিনতাই-ডাকাতি হয়েছে কি-না? জবাবে পুলিশ কর্মকর্তা মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে। ঈদের আগে ১ হাজারেরও বেশি ছিনতাইকারীকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট ১৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন