স্বাস্থ্যকর জীবনধারায় উৎসাহিত করে স্মার্ট নাগরিক তৈরি ও নাগরিকদের মধ্যে একতা তৈরি করে স্মার্ট সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ‘স্টেপ ইন্টু দ্য ফিউচার : রান ফর মিশন ২০৪১’-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ রান ২০২৪।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টায় হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটারের সামনের অংশ থেকে শুরু হয়ে পুরো হাতিরঝিল ৭.৫ কিমি ঘুরে এম্ফিথিয়েটারে এসে দৌড় প্রতিযোগিতাটি সম্পন্ন হয়।
এসময় নারী-পুরুষ- বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এই চার বিভাগে সবমিলিয়ে ২০৪১ জন অপেশাদার দৌড়বিদ অংশ নেন। ৭.৫ কিমি ক্যাটাগরিতে আলাদা আলাদা ইভেন্টে অংশ নেন নারী-পুরুষ ও ৫০ বছরের বেশি বয়সের দৌড়বিদরা। আর ১ কিমি ক্যাটাগরিতে দৌড়ান প্রতিবন্ধী দৌড়বিদরা। চিপ টাইমিং সিস্টেমে ইভেন্টের বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকও এই দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন এবং ৬৮ মিনিট সময় নিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অতিক্রম করেন। দৌড় প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রয়োজন সুস্থ-সবল, অসম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল চেতনার দেশপ্রেমিক স্মার্ট নাগরিক।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সবার জন্য। সুস্থ স্বাভাবিক, বিশেষভাবে সক্ষম, নারী-পুরুষ, তৃতীয় লিঙ্গ, গ্রাম-শহর সবাইকেই এই স্মার্ট রান তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, স্মার্ট রানের সময় যেমন ৭৫ মিনিট, তেমনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্ধারণ করে দিয়েছেন ১৭ বছর। এই ১৭ বছরে আমাদের যার যার জায়গা থেকে যার যার দায়িত্বটা একজন দেশপ্রেমিক, প্রগতিশীল, উদ্ভাবনী ও সমস্যা সমাধানকারী নাগরিক হিসেবে পালন করব এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব।
চার বিভাগে সবমিলিয়ে ১৯ জন বিজয়ীকে আর্থিক পুরস্কার, সনদপত্র ও মেডেল প্রদান করা হয়। এ ছাড়া সব দৌড়বিদদের রেস জার্সি ও মেডেল প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন