তথ্য ফাঁসের ঘটনা উদ্ঘাটনকারী সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ভিক্টর মার্কপোলোসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
যোগাযোগ করে ভিক্টরকে ধন্যবাদ দিতে চান বলেও মন্তব্য করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। তবে বাংলাদেশ ই-গভ. কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (সার্ট) সঙ্গে ভিক্টরের যোগাযোগের দাবির সত্যতা এখনো পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি।
সোমবার (১০ জুলাই) তথ্য ফাঁসের ঘটনায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের উপস্থিতিতে এ সভায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো তালিকায় থাকা ২৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইসিটি বিভাগের সার্ট এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির (ডিএসএ) কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এক প্রশ্নের জবাবে পলক বলেন, আমাদের সার্ট, আইসিটি বিভাগ এবং ডিএসএর ওয়েবসাইটে থাকা যেসব ইমেইল আছে, সেগুলো আমরা চেক করে দেখেছি। কিন্তু বিগত ২৭ জুন থেকে এখন পর্যন্ত ভিক্টর মার্কপোলোসের কোনো ইমেইল খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে আমি সংশ্লিষ্টদের বলেছি ওনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে। কারণ আমাদের একটা অনুশীলন আছে, অনেক দেশেরই আছে, কেউ যদি নিজে থেকে এমন তথ্য দেয়, সরকারের কোনো একটা সিস্টেমে কোনো দুর্বলতা আছে, তাহলে সেই তথ্য ‘অন রেকর্ডে’ রেখে যদি প্রতিবেদন পাওয়া যায়, তার তথ্যটা সঠিক তাহলে সেই ব্যক্তিকে আমরা একটা সনদপত্র দেই। তাদের দেওয়া তথ্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সার্টের মাধ্যমেও এই কাজটা করা হয়। এজন্য আমরা ভিক্টর মার্কপোলোসকে ধন্যবাদ দিতে চাই। উনি একজন গবেষক, এখন ইন্টার্নশিপ করছেন। আমরা তার বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। আমরা ওনার সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলেছি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এটা তো সার্টের দিক থেকে বললাম। পাশাপাশি আমরা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রতিনিধি থেকেও জানতে পেরেছি, তারা ভিক্টর মার্কপোলোসের কোনো ইমেইল পাননি। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করব, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাসে তিনি কোনো যোগাযোগ করেছিলেন কি না। তবে আমরা বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাই। উনি যে কাজটি করেছেন এটা মূলত বাংলাদেশকে সাহায্য করাই হয়েছে।
মন্তব্য করুন