জাতীয় চিড়িয়াখানায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে গাধার সংখ্যা বেড়ে গেছে। ফলে ভারসাম্য আনতে অতিরিক্ত গাধাগুলো বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
চিড়িয়াখানার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ধারণক্ষমতা অনুযায়ী চিড়িয়াখানায় গাধা রাখার সক্ষমতা ৬টি। তবে সেখানে বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি; ১৩টি। এতে অতিরিক্ত গাধাগুলোর জন্য স্থান সংকুলান হচ্ছে না।
এ ছাড়া গাধার মতোই ঘোড়া, সাপ, জলহস্তী, পাখিসহ বিভিন্ন প্রাণীর সংখ্যা সাম্প্রতিককালে বেড়ে গেছে। ফলে গাধার পাশাপাশি এসব প্রাণীও বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অনুমতি চেয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
ধারণক্ষমতার বেশি থাকা প্রাণীর প্রজাতির সংখ্যা ১০টি। তবে ৬টি প্রজাতি বিক্রি করতে চায় কর্তৃপক্ষ। সেগুলো হলো গাধা, অ্যারাবিয়ান ঘোড়া, দেশি ঘোড়া, ইমু পাখি, দেশি কবুতর ও জালালি কবুতর।
পাশাপাশি পাখি বা সাপের মতো কিছু প্রাণী অবমুক্ত করে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন শুধু সবুজ সংকেতের অপেক্ষা।
প্রসঙ্গত, কোনো প্রাণী বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত হয়ে গেলে সেগুলো বিক্রি বা অন্যান্য সাফারি পার্ক বা চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর করে কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালেও অতিরিক্ত হয়ে যাওয়া হরিণ বিক্রির মাধ্যমে এক কোটি ১০ লাখ টাকা এবং ও ময়ূর বিক্রির মাধ্যমে ২৪ লাখ টাকা আয় করে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক প্রজাতির পাখি।
তবে চিড়িয়াখানা থেকে বন্যপ্রাণী কিনতে ক্রেতাদের বন বিভাগের অনুমতির পাশাপাশি সেসব প্রাণী পালনে লাইসেন্সও নিতে হয়।
মন্তব্য করুন