বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া আর নেই। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল ১১টা ৬ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৯৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ৪ সন্তান ও ৮ নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। তিনি দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকার সাবেক ব্যবস্থাপনা সম্পাদক নূরুল ইসলাম ভূঁইয়ার (ছোটন) পিতা। মরহুমের ১ম নামাজে জানাজা বাদ আসর ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।
পরে তাকে গ্রামের বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়ার মাটিয়াগোধায় আরেকটি জানাজা শেষে হাজি ইয়াসিন ভূঁইয়া বাড়িস্থ পারিবারিক কবরস্থানের দাফন করা হবে বলে জানান আমার বাংলাদেশ-এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।
প্রসঙ্গত, একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৪ নম্বর সেক্টরের মেডিকেল অফিসার মরহুম ডা. মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া, সিলেটের সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর অপর পারে ভারতের করিমগঞ্জ মহুকুমায় উদ্যোগী হয়ে ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।
রণাঙ্গনে আহত হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা হতো সেখানে। তার টিম ১৯৭১ সালের জুন থেকে শুরু করে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত কয়েক’শ আহত মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের আগে মেডিকেল অফিসার হিসেবে আসাম রাজ্য সরকারের অস্থায়ী নিয়োগ পেয়ে তিনি করিমগঞ্জের শরণার্থী শিবিরগুলোতে বাংলাদেশিদের চিকিৎসা দিয়েছেন।
স্বাধীন বাংলাদেশে ডাক্তার মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া ১৯৭২ থেকে ৭৬ সাল পর্যন্ত সিলেটের সিভিল সার্জন এবং ১৯৭৮ থেকে ৮০ সাল পর্যন্ত কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জনের দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৮৭ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তররর উপপরিচালক পদ থেকে অবসরে যান।
মন্তব্য করুন