কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজতজয়ন্তী পালন করবে ইউনেসকো

২১ ফেব্রুয়ারি ফুল দিয়ে সজ্জিত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার। ছবি : সংগৃহীত
২১ ফেব্রুয়ারি ফুল দিয়ে সজ্জিত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার। ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজত জয়ন্তী পালন করবে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সংস্থাটির প্যারিসের সদর দপ্তরে চলা নির্বাহী পর্ষদের ২১৯তম সভায় বাংলাদেশের প্রস্তাবে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। বাংলাদেশের উত্থাপিত এ প্রস্তাব ৬৩টি সদস্য রাষ্ট্র সমর্থন করে।

এ সিদ্ধান্তে মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও প্রচার কার্যক্রমকে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নের অন্যতম নিয়ামক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রশংসা করেছে নির্বাহী পর্ষদ।

এ ছাড়াও ভাষার সর্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করা ও প্রতিবন্ধকতা নিরসনের লক্ষ্যে ইশারা ভাষাগুলোকে সকল মাতৃভাষার মতো সমান গুরুত্ব ও সম্মানের সঙ্গে সংরক্ষণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ সিদ্ধান্তের ফলে ২০২৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ইউনেসকোর সদর দপ্তর, আঞ্চলিক ও স্থানীয় দপ্তরগুলোতে দিবসটির রজতজয়ন্তী পালনের অনুমোদন দিয়েছে নির্বাহী পর্ষদ।

এ সিদ্ধান্তে সংস্থাটির সব সদস্য রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজতজয়ন্তী পালনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রস্তাবিত সিদ্ধান্তটি নির্বাহী পর্ষদের অনুমোদন লাভের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইউনেসকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা ইউনেসকোর সকল সদস্য রাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি ইশারা ভাষাকে মাতৃভাষার সমান গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমে ভাষাকে সর্বজনীনতা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।

সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় রাষ্ট্রদূত এই সিদ্ধান্তকে প্রধানমত্রীর নেতৃত্বে ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাতৃভাষা ও ইশারা ভাষার সংরক্ষণ, প্রচার ও প্রসারে অগ্রণী ভূমিকার আরেকটি স্বীকৃতি হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

এ সিদ্ধান্তের ফলে আগামী বছর মাতৃভাষা সংরক্ষণে দেশে ও বিদেশে বড় পরিসরে নানা কর্মসূচি গৃহীত হবে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বৈশ্বিক উদযাপনকে বাংলাদেশের জনকূটনীতির একটি অনন্য সাফল্য হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেন এবং এর মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগের মহান ইতিহাসকে তুলে ধরার একটি সুবর্ণ সুযোগ বলে তিনি মনে করেন।

২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালনের পূর্বমুহূর্তে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে ঘোষিত দিবসের রজত জয়ন্তী পালনের সিদ্ধান্তে উৎফুল্ল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রবাসীসহ সর্বস্তরের সকল বাংলাদেশি নাগরিক।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে ইউনেসকোর ৩০তম সাধারণ পরিষদের সভায় ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সবাইকে নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব: নীরব

‘হামজা আমার দলে হলে বেঞ্চেই বসে থাকত’

লন্ডনে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়রের সঙ্গে বাসস চেয়ারম্যানের মতবিনিময়

আফগানদের কাছে হারার পর যা বললেন মিরাজ

অল্প পুঁজি নিয়ে আফগানদের সাথে পারল না বাংলাদেশ

‘দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে’

রাবেতাতুল ওয়ায়েজীনের সঙ্গে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের মতবিনিময়

ডিএনসিসি এলাকায় টাইফয়েডের টিকা পাবে ১৩ লাখ শিশু

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৯ কোটি ডলার

৭ বছর পর শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারত করলেন খালেদা জিয়া

১০

ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ

১১

কালবেলার সংবাদের পর স্বপ্নের রঙিন ঘরে শাহারবানু

১২

আখিরাতের কল্যাণ নিশ্চিতে কাজ করছে জামায়াত : মুজিবুর রহমান

১৩

রাজধানীতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারের রেকর্ডেড ভিডিও প্রদর্শন

১৪

জবাব দিতে পিএসসিকে আলটিমেটাম

১৫

অসদাচরণের অভিযোগে বদলি চিকিৎসক দম্পতি

১৬

সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ

১৭

শহীদ জিয়ার মাজারে দোয়া করলেন খালেদা জিয়া

১৮

নোয়াখালী বিভাগ চাইলেন ‘কাবিলা’

১৯

বেথ মুনির রেকর্ডে অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত জয়

২০
X