ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নৌপথ উত্তাল হওয়ায় যাত্রীসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা নদী বন্দর হতে অভ্যন্তরীণ নৌপথের সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
শনিবার (২৫ মে) রাতে এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বার্তায় বিআইডব্লিউটিএ জানায়, আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালʼ এর প্রভাবে নৌপথ উত্তাল হওয়ায় যাত্রীসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে অদ্য ২৫.০৫.২০২৪ইং তারিখ রাত ১০ ঘটিকায় ঢাকা নদী বন্দর হতে অভ্যন্তরীণ নৌপথের সকল লঞ্চসমূহ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে অতিপ্রবল হিসেবে দেশের উপকূল অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। সংবাদ লেখা পর্যন্ত ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ অবস্থায় উপকূলের ১৩টিসহ ১৮ জেলা রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।
শনিবার (২৫ মে) রাতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এমন তথ্য দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোববার (২৬ মে) ভোর থেকে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানতে শুরু করবে। ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রমের সময় বাতাসের গতিবেগ ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে, কখনো কখনো এটি ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, রিমাল সন্ধ্যার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এ সময় ৮ থেকে ১০ ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে উপকূল। এ অবস্থায় রোববার ভোরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বার্তা (৮ নম্বর) অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন