কালবেলার অনলাইন সংস্করণে ১৮ অক্টোবর (বুধবার) ‘বগুড়ায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত থেকে বাছাইকৃত মতামত প্রকাশ করা হলো।
জহির আলিম : উপযুক্ত শাস্তি না হওয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার ওপর বেশি প্রচার চালাতে হবে। তাহলে এর সমাধান হবে বলে মনে করি।
মো. উজ্জল হোসেন : এই মামলায় আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী অংশগ্রহণ না করে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি অনুযায়ী দোষীদের বিচারের আওতায় এনে দ্রুত বিচার কার্যকর করা হোক।
তাফসির আহমেদ আশিক : আসামির প্রচলিত শাস্তি নয় ববং এমন কিছু করা হোক যেন দৃষ্টান্ত তৈরি হয়। ভবিষ্যতে যেন কোনো পুরুষ নারীর দিকে খারাপ নজরে তাকাতেও ভয় পায়।
মীর কাশেম : দিন দিন সমাজে নৈতিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় ঘটে চলেছে। ধর্ষণসহ যৌন নিপীড়কদের দ্রুত শাস্তি হয় না বলেই এমন ঘটনা দেশে বারবার ঘটে। ধর্ষক-খুনিদের রক্ষা করতে সমাজের কিছু রাজনৈতিক দুর্বৃত্তও জড়িয়ে পড়েছে। ফেনীতেও এক মাদ্রাসায় শিক্ষক দ্বারা ছাত্রীকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে, তার কী শাস্তি হয়েছে জানি না। এসব জঘন্য ঘটনায় জড়িতদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ পরিবার-সমাজে ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নের শাস্তির বিষয়টি প্রচার করে নৈতিক শিক্ষাকে জোরালো করা উচিত।
মো. স্বাধীন মালিক : আইন আছে অথচ আইনের সঠিক প্রয়োগ নেই। অপরাধ করলে অপরাধীর শাস্তি নেই। বর্তমান বাংলাদেশে ধর্ষণ যেভাবে বেড়ে গেছে, তা জাহেলি যুগের সঙ্গে তুলনা করা যায়। নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যার জন্য দায়ী দেশের দুর্বল আইন ব্যবস্থা। প্রতিটি অপরাধের যথাযথ শাস্তি দিলে কেউ অপরাধ করত না।
মো. ইউসূফ আলী : ১৬৪ ধারার জবানবন্দি অনুযায়ী দোষীদের বিচারের আওতায় এনে দ্রুত বিচারে ফাঁসি কার্যকর করা হোক।
মো. আশিকুর রহমান : রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেওয়ায় এই ধরনের অপরাধ আজীবন চলতে থাকবে। এই ধরনের অপরাধের আইনের শাস্তির বিধান অন্তত সৌদি আরবের সঙ্গে সামঞ্জস্য করার জোর দাবি জানাই। তবে যদি অপরাধীরা ভয় একটু পায় আরকি।
মো. তারেক : দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে হত্যার বদলে সাত দিনের মাথায় তাদের ফাঁসি দিতে হবে। কারণ, আজকে অপরাধীরা আইনের ফাঁক দিয়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কয়েক মাস যেতে না যেতে কারাগার থেকে বের হওয়ায় পর, ফের অন্য কোথাও আবারও অপরাধের সঙ্গে যোগসূত্র হবে না তার সঠিক গ্যারান্টি দেবে কে।
নুর আহমাদ সিদ্দিকী : এটা আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে। অভিযুক্তকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করা হোক। অপরাধীর পরিচয় শুধুই অপরাধী। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে কঠিন শাস্তির দাবি করছি। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে অন্য অপরাধীদেরও সতর্ক করা হোক। দেশে যেন ন্যায়বিচার নেই বললেই চলে। যার কারণে বড় বড় অপরাধীরা পার পেয়ে যায় আর ফেঁসে যায় নিরপরাধ সাধারণ মানুষ। বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে।
মো. আনোয়ার হোসাইন : সরকারের উচিত এমন হত্যার বিচার বিলম্ব না করে তাড়াতাড়ি শাস্তি কার্যকর করা। যাতে করে অপরাধীরা ভয়ে থাকে।
মো. জসিম উদ্দিন : আমাদের দেশে ধর্ষণকারীরা আইনের ফাঁক দিয়ে জামিনে বের হয়ে আবার নতুন করে ধর্ষণ শুরু করে। এই কারণেই ধর্ষণ নির্মূল করা সম্ভব হয় না।
গ্রন্থনা : আব্দুল্লাহ আল মাছুম
মন্তব্য করুন