গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক মহলও আজ বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনতার পাশে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ জন কংগ্রেসম্যান জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশে বিরোধী দলসমূহের ওপর সরকারের দমনপীড়ন, গুম-খুনের বিষয় অবহিত করে জাতিসংঘের অধীনে আগামীতে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। সেক্ষেত্রে জাতিসংঘের অধীনে যদি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা হয়, আমরা সমর্থন করব।’
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘শনিবার বিরোধী দলসমূহের শান্তিপূর্ণ একদফার কর্মসূচিতে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ কীভাবে হামলা করেছে- তা দেশবাসী দেখেছে। তারা (পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ) নাগরিকদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন চেক করে দেখছে, তারা বিএনপি-জামায়াতের লোক কিনা। এগুলো সংবিধান ও মানবতাবিরোধী কাজ। প্রশাসনের ভাইদের বলব- আপনারা অতিউৎসাহী হয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে তার ফল ভালো হবে না।’
সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের নামে উচ্ছৃঙ্খলা তৈরি করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হাফেজ রেজাউল করিমকে হত্যা করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কিংবা দলটির কোনো শীর্ষ নেতার নামে মামলা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আবেদ আলী নামে একজন সরকারের টাকায় সাদা চামড়ার লোক ভাড়া করে এনেছে। পর্যবেক্ষক পরিচয়ে নির্বাচন কমিশনে মিটিং করিয়ে তাদের দিয়ে বলাচ্ছে, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এসব গুরুত্ব দেওয়া যাবে না। কারণ, কোনো বিদেশি পর্যবেক্ষক আসলে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস বা জাতিসংঘের মাধ্যমে আসবে।’
আরও পড়ুন : এবার মাঠে নামছে ১৪ দল
গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম-আহ্বায়ক রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান খান, সোহরাব হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব জিলু খান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুম ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন