বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় বিচার বিভাগকে কলঙ্কিত করে যে রায় দেওয়া হয়েছে তাকে ফরমায়েশি রায় উল্লেখ করে এ রায় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ।
আজ বুধবার এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের মানুষ আজকে আবারো দেখল এই ফ্যাসিস্ট সরকার বিচারবিভাগকে কুক্ষিগত করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার নির্লজ্জ খেলায় মেতে উঠেছে।
আরও পড়ুন : পুলিশের সামনে গাড়িতে আগুন দেয়, তারা কি ললিপপ খায় : রুমিন ফারহানা
তারা বলেন, তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে তার বিশেষ আদালতে যেভাবে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় মাত্র ১৬ দিনে ৪২ জনের সাক্ষী গ্রহণ করে এ মামলার রায় প্রকাশ করা হয়েছে তাতে এটাই প্রমাণিত হয় যে বিচারের নামে ক্যামেরা ট্রায়াল চালানো হয়েছে।
তারা আরও বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শুধু সরকারের আজ্ঞাবহ কমিশনই নয় বিরোধীদলীয় দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে। তারা আরও বলেন, সর্বক্ষেত্রে আজকে বিচারের নামে প্রহসন প্রত্যক্ষ করছি। এর আগেও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফরমায়েশি সাজা দিয়ে নজিরবিহীনভাবে উচ্চ আদালতে সেই সাজা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধীদলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে ফরমায়েসী সাজা দেওয়ার মাধ্যমে আগামী নির্বাচন থেকে দূরে রাখার একটি অপচেষ্টা করছে এই ফ্যাসিস্ট অবৈধ সরকার। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ১/১১ সময়ের দায়েরকৃত এই প্রহসনমূলক মামলা প্রত্যাহার ও এই ফরমায়েসী রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন।
আরও পড়ুন : দেশে সুবিচার নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে : মির্জা ফখরুল
বিবৃতিদাতারা হলেন- জাতীয় পার্টিও (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম (বীর প্রতীক), বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) এর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এর সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, ন্যাপ ভাসানির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান ডক্টর জাবেদ মো: সালেহউদ্দিন।
মন্তব্য করুন