আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনাদের পদচারণায় আজ ধন্য গণভবন। অনেক দিন পর আপনাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হলো।
রোববার (৬ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের বর্ধিত সভার সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। রীতি অনুযায়ী সভার সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন : তৃণমূল নেতাদের প্রস্তুত হতে বললেন কাদের
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় ‘শত সংগ্রামে অজস্র গৌরবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে’ শীর্ষক আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা শুরু হয়।
সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা/মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়র এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশগ্রহণ করেছেন। বর্ধিত সভায় প্রায় তিন হাজার নেতা অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন : রাতে ভারত যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা
গণভবনের বিশেষ বর্ধিত সভার সূচনা বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। আবার আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হুমকির মুখে। তবে আমরা এই দেশকে পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে তুলে দেব না। এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনা বাংলাদেশের আস্থার ঠিকানা। আমরা তার নেতৃত্বে এগিয়ে যাব। আপনারা প্রস্তুত হন।
ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যে বলেন, বিশ্ব সংকটের মধ্যেও একজন শেখ হাসিনা সবকিছু শক্ত হাতে মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। এখন বাংলাদেশ পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে। কিছু দুঃখ আছে। দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। আমরা কষ্ট পাচ্ছি। বড় বড় দেশগুলোর জন্য দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। তবুও সব সামলিয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা মাথা নত করতে জানেন না বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আবার ষড়যন্ত্র চলছে, সন্ত্রাস চলছে। আবার আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হুমকির মুখে। প্রস্তুত হন, শপথ নিন। শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন, আমরাই পারি। উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল। নিজ দেশের টাকায় পদ্মা সেতু করে শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন, ইয়েস আমরাই পারি।
উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভয় পাবেন না, ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। মিছিল-মিটিংয়ে কিছু লোক দেখলেই ভয় পায়। আমাদের লোক অনেক বেশি। সাধারণ মানুষ আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ভয় নেই, শেখ হাসিনা আছে। আমরা তার নেতৃত্বে এগিয়ে যাব।
মন্তব্য করুন