কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সরকারের শেষ রক্ষা হবে না: ইসলামী আন্দোলন

ইসলামী আন্দোলনের পর্যালোচনা সভায় নেতারা। ছবি : কালবেলা
ইসলামী আন্দোলনের পর্যালোচনা সভায় নেতারা। ছবি : কালবেলা

ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার ৫৩ বছরের ২৩ বছর রাষ্ট্র শাসন করে পর্যায়ক্রমে নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যেই পরিবর্তন আস‌বে : দুদু

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে নিশি ভোটের সরকার নির্বাচন কমিশনের যোগসাজশে ২০২৩ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকালে ব্যালট বাক্স কেন্দ্রে পাঠিয়ে ভোট চুরি থেকে ভোট ডাকাতির ষড়যন্ত্র করছে। অথচ বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ যৌক্তিক আন্দোলনকে ষড়যন্ত্র বলে দেশের ১৮ কোটি জনতার ভোটাধিকার এর প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছে।

মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার জনমতের প্রতি কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে গায়ের জোরে টিকে থাকতে এবং পুনরায় ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠছে। জনগণ আর এক মুহুর্তও বর্তমান সরকারকে ড়্গমতায় দেখতে চায় না। এছাড়া হাফেজ রেজাউল করিম খুন হওয়ার অনেকদিন পার হলেও খুনিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মহাসচিব বলেন, খুনিরা সরকারদলীয় হওয়ায় সরকার তাদেরকে রক্ষার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।

এদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম এবং সেক্রেটারি ডা. শহীদুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বিতর্কিত "ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন" পরিবর্তন করে "সাইবার নিরাপত্তা আইন" করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন মূলত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খোলস। এ আইন কার্যকর হলে মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হবে। সাংবাদিকদের টুঁটি চেপে ধরা হবে। মূলত বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু সাজা কমিয়ে জনগণকে বোকা বানিয়ে "সাইবার নিরাপত্তা আইনে” রূপান্তর করা হয়েছে। যা দেশের মানুষের সাথে ধোঁকাবাজির শামিল এবং সংবিধান পরিপন্থী।

এ সময় নেতারা ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ নামে কালো আইন বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সাধারণ জনগণ ও গণমাধ্যম কর্মীদের হয়রানি করার এ আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। খোলস বদলে জনতার চোখ ফাঁকি দিয়ে কালাকানুন করা সরকারের মতলব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটি বাতিল না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

এতে উপস্থিত ছিলেন সহকারী মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, হারুন অর রশিদ, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা খলিলুর রহমান, জিএম রম্নহুল আমীন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান প্রমুখ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সিরিজে থাকছে নারী আম্পায়ার

মওলানা ভাসানী সেতুর স্বপ্নযাত্রা শুরু

বিএনপি কর্মীদের নিয়ে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিলেন জয়

খাঁচায় বন্দি রেখে পাখি পালন করা কি জায়েজ আছে?

সাবেক স্ত্রীকে হত্যার পর যুবকের কাণ্ড

বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা

নদীতে ভাসছিল নিখোঁজ চালকের মরদেহ, উধাও অটো

টাইফয়েড টিকার রেজিস্ট্রেশন মোবাইল থেকে যেভাবে করবেন

দুদকের দুই উপ-পরিচালক বরখাস্ত

দলের স্বার্থে খেলে কপাল পুড়ল দুই ক্রিকেটারের, দাবি অশ্বিনের

১০

মহাখালীর সাত তলা বস্তিতে ভয়াবহ আগুন 

১১

আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ১২টা হাতি মরে গেছে : রিজওয়ানা

১২

প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

১৩

ঢাবির ১৮ হল সংসদের প্রার্থী ঘোষণা ছাত্রদলের

১৪

স্টার্টআপে বিনিয়োগ ও পরামর্শ দেবে কমিউনিটি ব্যাংক

১৫

মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

১৬

কুমিল্লায় ৫২টি পাসপোর্টসহ দালাল আটক

১৭

টাকা ছাড়াই খাওয়া যায় যে ক্যাফেতে, দিতে হবে প্লাস্টিক বর্জ্য

১৮

বঞ্চিত কর্মকর্তাগণের আবেদন পর্যালোচনা কমিটির ২য় প্রতিবেদন পেশ

১৯

হাসপাতালে গিয়ে মির্জা ফখরুলকে পেলেন না জামায়াতের প্রতিনিধিদল

২০
X