বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়ার কারণ ক্ষমতা হারানোর আতঙ্ক। এ সরকার বিএনপিকে ভয় পায়।’
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বরিশাল বিভাগের বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের উদ্যাগে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে আ ফ ম রশিদ দুলাল হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সারোয়ার, কেন্দ্রীয় নেতা বিলকিস জাহান শিরিন, মীর সরফত আলী সপু, মো. মুনির হোসেন, কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, ফিরোজ তালুকদার, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, আবুল হোসেন, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, হায়দার আলী লেলিন, হাসান মামুন প্রমুখ।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন পুরোনো বোতলে পুরোনো বিষ। শুধু কভারটি পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জনগণকে বোকা ভাবেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব ধারাই সাইবার সিকিউরিটি আইনে বিদ্যমান। এ আইনে মানহানি মামলায় সর্বনিম্ন জরিমানার বিধান করা হয়েছে ২৫ লাখ টাকা। শুধু সরকারের অবাধ দুর্নীতি লুটপাটের কথা যেন জনগণ বলতে না পারে তা আটকানোর জন্য এই আইন।’
তিনি বলেন, ‘সরকার ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে আইসিটি আইন করেছিল। ১৮ সালে নির্বাচনের আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ল করেছিল। এবারে নির্বাচনের আগে সাইবার সিকিউরিটি আইন করল।’
রিজভী বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে থানায় যাবে, ডিসির কাছে যাবে, পুলিশ কমিশনার ও আইজিপির কাছে যাবে। গোয়েন্দা কার্যালয়ে কেন? আসলে এ সংস্থাটি জনগণের সঙ্গে তামাশা ও বায়োস্কোপ করছে।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি এত উন্নয়ন করেছেন, আপনার মন্ত্রীরা আপনার উন্নয়নের কথা গলা ফাটিয়ে বলছে। তাহলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে এত ভয় কেন? তত্ত্বাবধায়ক সরকারতো মাত্র তিন মাসের জন্য। সারা জীবনের জন্য নয়।’
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘জনগণ আজ রাজপথে নেমেছে। গণতন্ত্র ও ভোটার অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না। সরকার গণআন্দোলনকে নসাৎ করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র করছে, সে বিষয়ে সবকে সজাগ থাকতে হবে।’
মন্তব্য করুন