বিএনপির নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধীরা আজও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে আঘাত আনতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, মোকাবিলা করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড না ঘটলে বাংলাদেশ এত দিনে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতো। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির অভিন্ন শত্রু। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে অর্জন-উন্নয়নে ৫০ বছর পিছিয়েছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুকে না হারালে বাংলাদেশ এত দিনে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতো, পরিচিত পেত। বাংলাদেশ আজও ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি পায়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নীপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
মূলত, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট থেকেই বাংলাদেশে এক বিপরীত ধারার যাত্রা শুরু হয়। বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে সামরিক শাসনের অনাচারি ইতিহাস রচিত হতে থাকে। সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নোবেলজয়ী পশ্চিম জার্মানির নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যে কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে।
মন্তব্য করুন