দেশের মালিক হচ্ছে জনগণ এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আপনারা (ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা) বিএনপির আন্দোলনে ছিলেন। শেখ হাসিনার পতনের জন্য আপনাদের ভূমিকা অনেক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা ১৬ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। এই আন্দোলনে মানুষ জীবন দিয়েছে। পুলিশি হেফাজতে মানুষ খুন হয়েছে, গুম হয়েছে। মানুষ চাকরি হারিয়েছে। ব্যবসা হারিয়েছে। তার পরিবারও হারিয়েছে। এই ত্যাগ সহজেই বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাজধানীর আইডিইবি ভবন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিইএব) এ দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী ইবনে ফজল সাইফুজ্জামান সান্টুর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি ও ডিইএব’র নেতারা।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, যেই ত্যাগের জন্য আমরা লড়াই করেছি। বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য গণতান্ত্রিক আন্দোলন করেছি। দিনের শেষে দেশের মালিক হচ্ছে জনগণ। আজকে দেশের মানুষের মনোজগতে পরিবর্তন হয়েছে। আগামীতে বাংলাদেশে কী হবে এ বিষয়ে মানুষের মনে প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা জেগেছে। এটার প্রতিফলন একমাত্র সম্ভব বাংলাদেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনা করা।
তিনি বলেন, কারণ অনেকের অনেক মত থাকবে। সকলের মতের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাতে হবে। সহনশীল হতে হবে। দেশের মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু সিদ্ধান্ত হবে দেশের মানুষের ভোটের মাধ্যমে। এর বাইরে কোনা সিদ্ধান্ত হবে না। আমাদের সংস্কৃতি বদলাতে হবে। আমরা সাংঘর্ষিক রাজনীতির দিকে যেতে পারবো না। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি রাখতে হবে।
আমীর খসরু আরও বলেন, আমাদেরকে বিগত দিনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে সুষ্ঠু রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ফিরতে হবে। যেটি বিএনপি আয়োজিত রাজনীতিবিদদের সম্মানে ইফতার মাহফিলে (বুধবার) প্রচারিত হয়েছে। সেখানে সকল রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য দিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করতে পেরেছেন। একটি রাজনৈতিক দলের ইফতার মাহফিলে অন্য দলের নেতাদের বক্তব্য দেওয়ার প্ল্যাট ফর্ম তৈরি করার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বিএনপি। যা দেশের রাজনীতিতে সহনশীলতার প্রথম উদাহরণ তৈরি হয়েছে। আমরা সকলে যেন কথা বলতে পারি, সম্মান জানাতে পারি, আবার ভিন্নমতও পোষণ করতে পারি। এটাই হবে বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতি।
মন্তব্য করুন