একতরফা নির্বাচন করার পরিণতি কী হতে পারে তা নিয়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
সোমবার (২৩ জুন) সকালে এক সমাবেশে এ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন তিনি।
তিনি বলেন, জোর করে কেউ আর ক্ষমতা দখল করতে পারবেন না তার প্রমাণ গতকালকে দুই সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারের গ্রেপ্তার। তাই নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক কমিশন। অতীতে শেখ হাসিনা কাজ করতে দেয়নি তার ফল কী- জেলখানা। তার ফল কী- মামলা।
বিএনপি এই নেতা বলেন, তাই আপনাকে (নির্বাচন কমিশন) উদ্দেশ্যে করে বলতে চাই, এখন শেখ হাসিনা নাই, এরশাদ নাই, এখন সাবেক ডিবি প্রধান হারুন নাই, বিপ্লব (সাবেক ডিএমপির উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার) নাই। এখন বাংলাদেশে আছে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন সজ্জন ব্যক্তি যে ব্যক্তিটির অধীনে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। বিপ্লবের সাথে যে দল সহযোগিতা করে বিপ্লব সফল করেছে সেই দল অন্যান্য সংগ্রামী দলগুলোকে নিয়ে আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এটাই প্রত্যাশা।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল ও কেএম নুরুল হকের গ্রেপ্তারের ঘটনায় জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গতকালের (রোববার) এই প্রশংসিত যে কাজটি করেছেন তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের একাত্তরের একজন যোদ্ধার পক্ষ থেকে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই। গতকাল (রোববার) গভীর রাতে দেখতে পেলাম হাবিবুল আউয়াল সাহেবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন আমার বিশ্বাস আইনের আওতায় তাদের বিচার হবে। সেই বিচার আল্লাহপাক এবং বিচারকরাই জানেন।
তিনি বলেন, এখন আরও একজন বাকী আছে। শুধু বাকী থেকে গ্রেপ্তার নয়, যারা আমাদের দেশের ভোটাধিকারকে আমার ভোটের প্রয়োগকে, ভোটের দিনকে, ভোটে যাওয়ার পথকে রুদ্ধ করে দিয়েছিলো এই তিনজনের সঙ্গে যারা সহকারী হিসেবে ছিলেন তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের উদ্যোগে ‘২০১৪, ’১৮ ও ’২৪ সালের নির্বাচনে রাতের ভোট করতে সহযোগিতাকারী সকল কর্মকর্তাকে আগামী সংসদ নির্বাচনের কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত না করার প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়।
এনসিপির প্রতীক শাপলা প্রসঙ্গে
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আপনারা কী চেয়েছেন আপনাদের মার্কা আমার জানার বিষয় নয়| পত্রিকায় দেখেছি। দয়া করে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন এমন কিছু করবেন যেটা বিতর্কিত হয়ে পড়ে। তাহলে বির্তকই নির্বাচনের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রমজান আলীর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আকম মোজাম্মেলন হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন