ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব পীরে তরিকত আল্লামা মোশাররফ হোসেন হেলালী বলেছেন- পর্দা হচ্ছে নারীর সম্মান। নারীর ক্ষেত্রে এটি ইসলামের অপরিহার্য নির্দেশনা। বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মুসলিম দেশ হিসেবে এ দেশে নারীরা পর্দা করবে এটি নিতান্তই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে এটি নিয়ে কারও ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করা তা ইসলামবিদ্বেষী মনোবৃত্তিরই বহিঃপ্রকাশ। পাশাপাশি হিজাব পরিহিতদের উগ্রবাদী তকমা দেওয়াটা যা ধর্ম অবমাননা ও বিকৃত রুচির শামিল বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন- সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে একজন মুসলমান শিক্ষকের কাছ থেকে এহেন কদর্য বক্তব্যে গোটা জাতি লজ্জিত। তিনি এমনটি কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না বলে উল্লেখ করে ঢাবি শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামান চানকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
আজ শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বাদ জুমা রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আই.ই.আর এর অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামান চান কর্তৃক হিজাব শিক্ষার্থীদের হেনস্তা এবং ভিকটিমকে উগ্রবাদী ব্লেম দেওয়ার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধন হয়।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তরিকুল হাসান লিংকনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যক্ষ আ ন ম ফখরুদ্দীন, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ মিলন হোসেন, ইসলামিক যুবফ্রন্ট কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক রাহাত হাসান রাব্বী, ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ফয়সাল, সদস্য মোহাম্মদ তারেক হোসাইন, ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোহম্মদ সানি দেওয়ান, সদস্য মোহাম্মদ রুবায়েত মুনতাসির, ইয়াসিন আরাফাত আজমির, মোহাম্মদ ফাহিম ও ইমন হাসান প্রমুখ।
মানববন্ধনে তরিকুল হাসান লিংকন বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের এহেন হীনমানসিকতা জাতীয় জীবনে কখনো ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে না। এ বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারপূর্বক ক্ষমা চাওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন