রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এ ঘটনার দায় ‘বিএনপি ও সরকারকেই বহন করতে হবে’ বলে দাবি করেছে দলটি।
শুক্রবার (১১ জুলাই) এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ‘চকবাজারে যে বর্বরতা ঘটেছে তা আইয়্যামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে। বিএনপির মধ্যে যে এ ধরনের বর্বরতা জন্ম নিয়েছে তার দায় তারা এড়াতে পারে না। এই নৃশংসতার দায় বিএনপিকেই বহন করতে হবে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র বলেন, ‘গত জুলাইয়ের পরে সারাদেশে নৃশংসতা ও বর্বরতার সাথে বিএনপির নাম জড়িয়ে যাচ্ছে। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বিএনপির লোকেরাই করছে। শতশত খুনের ঘটনার সাথে বিএনপি জড়িত।’
ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্ব মুখে মুখে নানা সুন্দর কথা বললেও এত খুন-খারাবির সঙ্গে তাদের জড়িত থাকা প্রমাণ করে যে, বিএনপি এখন নিয়ন্ত্রণহীন দলে পরিণত হয়েছে। যারা নিজের দল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, যারা দেশের একটা শাখাতেও নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি করতে পারেনি তারা ক্ষমতায় গেলে দেশে আবারও সন্ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করবে।’
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা ও পক্ষপাত সুস্পষ্ট। তারা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বিএনপির অপরাধীদের বিরুদ্ধে আগাম কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যার ফলে জাতিকে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেখতে হলো। সরকার কেন বিএনপির সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। লন্ডন বৈঠকের কোনো সমঝোতা এক্ষেত্রে কাজ করছে কিনা সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘বিএনপির এই নিয়ন্ত্রণহীন বর্বর, নৃশংস সন্ত্রাসীরা বহাল তবিয়তে থাকলে আগামী নির্বাচন অসম্ভব হয়ে উঠবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে এমন অসভ্য, বর্বব বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে নির্বাচনে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরে এটা মেনে নেওয়া যায় না।’
ইসলামী আন্দোলনের যুগ্মমহাসচিব সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডসহ এরইমধ্যে সংগঠিত সব নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুততার সঙ্গে শাস্তির আওতায় এনে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করতে হবে। এটা করতে যদি কোন বাঁধা আসে তাহলে জাতিকে তা জানাতে হবে। জুলাইয়ের জনতা এখনো জাগ্রত আছে। হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট উৎখাতকারী জনতা নব্য বর্বরদেরকেও উৎখাত করবে ইনশাআল্লাহ। আর সরকার যদি নিশ্চুপ বসে থাকে তাহলে এ সরকারের ব্যাপারেও জনতা নতুন করে সিদ্ধান্ত নেবে।’
বর্বর এ হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ইসলামী যুব আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে। দেশের বিভিন্ন জেলাতেও বিক্ষোভ হয়েছে।
মন্তব্য করুন