নির্বাচনের বাইরে অন্য কোনো পথ গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মঈন খান বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় একটি কথা বলে দিতে চাই যে, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। গণতন্ত্রে যে উত্তরণ সেই উত্তরণের একটি মাত্র প্রক্রিয়া আছে। সেই প্রক্রিয়াটি কী? সেই প্রক্রিয়ার নাম হচ্ছে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিরপেক্ষ নির্বাচন। এর বাইরে আর কোনো পন্থা বাংলাদেশে কেন, সারা বিশ্ব বা অন্য কোথাও জানা নেই।
তিনি বলেন, আর যদি কেউ বলে, তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না, অন্য কোনো পন্থায় তারা এদেশকে পরিচালনা করতে চায় তাহলে আমাদের পথ আলাদা, তাদের পথ আলাদা। এটা স্পষ্ট করতে হবে, গণতন্ত্রের মুখোশ পড়ে কেউ যদি এদেশে স্বৈরতন্ত্র করতে চায় সেটা বিএনপি হতে দেবে না।
জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে ক্রমাগত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে এই সভা হয়।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কয়েকটি দলের কটূক্তিমূলক বক্তব্য প্রদানের তীব্র নিন্দা জানিয়ে মঈন খান বলেন, এদেশে গত কয়েকদিনের যে বিভিন্ন ঘটনা হচ্ছে সেই ঘটনার মূলে কোনো রহস্য রয়েছে, সেই রহস্য আজকে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে উন্মোচিত করতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী, আমরা নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী, আমরা সুষ্ঠু রাজনীতিতে বিশ্বাসী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমাজ এবং সংস্কৃতিতে যেসব কথা, বাক্য, কটূবাক্য সেগুলো দেশের মানুষ চিরদিন প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। যেসব কথা-বার্তা-ভাষা আজকে যারা প্রকাশ্যে নিয়ে আসে তারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে না। তারা বাংলাদেশের সমাজকে ধবংস করতে চায়, তারা বাংলাদেশের যে কৃষ্টি সেটাকে ধবংস করতে চায়।
মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা এদেশে বড় হয়েছি। আপনারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, আপনারা কী কখনো দেখেছেন যে, বাংলাদেশের প্রকাশ্যে এই ধরণে শব্দ, ভাষা, কটুবাক্য এগুলো কখনো কেউ প্রকাশ্যে এভাবে বলেনি। আপনাদের দীর্ঘজীবন ৬০/৭০/৮০ বছর হয়েছে তারা বলুন?
উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাংলাদেশের যে ইমেজ সেই ইমেজকে ধ্বংস করার জন্য যে কর্মকান্ড বিগত কয়েকদিন ধরে দেখছি সেটা কেনো হচ্ছে তার বিশ্লেষণ করতে হবে, এজন্য কারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করতে হবে। আমি বলি না যে, তাদের শাস্তি দেবো। শাস্তি দেওয়ার অধিকার আমাদের নেই। কিন্তু আমি একথা বলব, আপনারা যে অন্যায় হচ্ছে তার প্রতিবাদ করুন শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত হবার জন্য, গণতান্ত্রিক পথে পরিচালিত হবার জন্যে… আপনারা যার যার যা করণীয় আছে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে আপনারা সেটা করুন।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, প্রয়াত মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে বিএনপি নেত্রী রিটা রহমান, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মজিবুর রহমানসহ মুক্তিযোদ্ধা দলের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন