আইনি ভিত্তি দিয়ে জুলাই সনদ প্রণয়ন করতে হবে বলে জানিয়েছে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় দলের নেতারা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও এখনো পর্যন্ত নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির কাজ সরকার শুরু করতে পারেনি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রম অবনতির দিকে। পেশিশক্তি, কালো টাকার প্রভাবমুক্ত একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা নতুন বাংলাদেশের সবার। এর জন্য নির্বাচনের পূর্বেই যে সংস্কার প্রয়োজন তা জরুরি। জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে। জুলাই সনদকে শক্তিশালী আইনি ভিত্তি দিতে হবে। কার্যকর সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তা জরুরি। গণহত্যাকারী পতিত ফ্যাসিস্টদের বিচারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রয়োজন।’
বৈঠকে আরও বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বহুল প্রত্যাশিত জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়েছিল। কিন্তু এতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। ফ্যাসিস্ট আমলে নিপীড়িত অনেকের ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা জুলাই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়নি। আমরা আবারও জুলাই ঘোষণাপত্র সংশোধনের দাবি জানাই।
আমিরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, সদরুজ্জামান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, বায়তুলমাল সম্পাদক আবু সালেহীন, সমাজকল্যাণ ও শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান ফিরোজ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তানজিম, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রিফাত মালিক, আইন বিষয়ক সম্পাদক শায়খুল ইসলাম, যুববিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, মো. জিল্লুর রহমান, সাহাবউদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, নুর হোসেন, লে. কর্নেল ডা. এমদাদুল হক, মো. আবুল হোসেন, আজীজুল হক, আমির আলী হাওলাদার, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন