কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নির্বাচন হতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই : দুদু

আলোচনা সভায় বক্তব্যকালে শামসুজ্জামান দুদু। ছবি : কালবেলা
আলোচনা সভায় বক্তব্যকালে শামসুজ্জামান দুদু। ছবি : কালবেলা

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্রের উদ্যোক্তা হচ্ছে আওয়ামী লীগ। একটি ভালো নির্বাচন হোক, আওয়ামী লীগ তা চায় না। যত বড় ষড়যন্ত্রই হোক, ফ্যাসিস্টরা যত টাকাই বিনিয়োগ করুক না কেন, নির্বাচন হতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।

বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশে এখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এই অবস্থায় অতীতে যারা দায়িত্ব পালন করেছে, এখন তাদের আরও বেশি করে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিএনপি মনে করে, ড. ইউনূসের অধীনে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন ঐতিহাসিকভাবে সম্পন্ন হবে। কারণ, ড. ইউনূস নিজেই জাতির কাছে কথা দিয়েছেন, তিনি একটি ঐতিহাসিক জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবেন। গত ৩টি নির্বাচন শেখ হাসিনা আত্মসাৎ করেছে, লুট করেছে, গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। সেই ধ্বংসস্তূপের উপরে গণতন্ত্রের পতাকা ওড়ানোর যে দায়িত্ব, সেই দায়িত্ব বর্তমান সরকার নিয়েছে, বিএনপি এই সরকারকে সমর্থন জানিয়েছে।

তিনি বলেন, কেউ কেউ নির্বাচন ঠেকানোর জন্য চক্রান্ত করছে, যাতে বিএনপি ক্ষমতায় না আসে। তারেক রহমান যাতে ক্ষমতায় না আসেন, প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন। সেজন্য নির্বাচন বন্ধ করতে চায়। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে ভিপি নুরকে পিটিয়েছে, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানকে কুপিয়েছে। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে, আগামী নির্বাচনকে বানচাল করা। কিন্তু এসব করে কোনো লাভ হবে না। জনগণ যদি আবার জেগে ওঠে, তাহলে এসব আঘাতকারীদের কিন্তু রেহাই হবে না। ষড়যন্ত্রকারীদের বলব, বেশি বাড় বাড়া ঠিক হবে না। বেশি বাড়লে বিপদ আছে।

দুদু বলেন, আগামী দিনে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে না পারি, অবাধ-সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যদি করতে না পারি, তাহলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপদে পড়বে। তাই আসুন ঐক্যবদ্ধ থাকি, বেগম খালেদা জিয়া যেটা চেয়েছিলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান যেটা চেয়েছেন। ১৬ বছরের যে আন্দোলন- সংগ্রাম, রাজপথে যে এতো রক্ত-ত্যাগ, জুলুমের মুখোমুখি হওয়া, সেটা শেষ হতে হবে এবং তা শেষ করতেই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সংগঠনের সভাপতি জাহানারা খাতুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কাদের গণি চৌধুরী, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদি প্রমুখ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হবিগঞ্জে রেলওয়ে পুলিশের ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

চবিতে সংঘর্ষ, ৮ গ্রামবাসীর জামিন নামঞ্জুর

ক্লাস নেওয়াটা আমার কাছে শ্বাস নেওয়ার মতো : মাভাবিপ্রবি উপাচার্য 

বামদের মধ্যেও শিবির ডুকে গেছে : ছাত্রদল নেতা আমান

ডেঙ্গুতে ৩ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৬৩

লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক পান্নার জামিন মেলেনি

শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে অনুমতি পাননি ৪ আইনজীবী

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো রিট শুনব না : হাইকোর্ট

পশ্চিম তীর থাকবে কি না, সিদ্ধান্ত হতে পারে আজ

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তরা নির্বাচনের অযোগ্য হবেন : প্রেস সচিব

১০

‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’ চবি শিক্ষার্থীর মাথায় সতর্কবার্তা

১১

প্রশাসনে হাসিনার প্রেতাত্মারা পরিকল্পিত অস্থিরতা করছে : রিজভী

১২

হারানো এনআইডি তুলতে আর লাগবে না জিডি

১৩

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এবং ঢাকা চেম্বারের মধ্যে চুক্তি সই 

১৪

ধানমন্ডিতে আ.লীগের ৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

১৫

ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ৭ মাসেও মেলেনি পুরস্কার, ক্ষুব্ধ নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

১৬

পুরোনো আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য বড় সুখবর!

১৭

র‌্যাবের বন্দিশালায় থাকা ব্যারিস্টার আরমানের মুক্তির চেষ্টা করেছি : সাবেক আইজিপি মামুন

১৮

যারা নির্বাচন ঠেকাতে চায়, তারা ফ্যাসিবাদের দোসর : রফিক

১৯

আমার ডাকসুতে জেতা লাগবে না, বেঁচে থাকতে চাই : কাদের

২০
X