বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) মহাসচিব মো. আবদুল কাদের বলেছেন, এই ভোটারবিহীন সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। আজ বাংলাদেশে ডেঙ্গু মহামারিতে শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে আর এই সরকারের ব্যর্থ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের না। তাহলে দায়িত্ব কার? জনগণের? বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন- সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। তাহলে পদত্যাগ কেন করেন না?
লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভয়াবহ দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের স্বর্গরাজ্য এখন বাংলাদেশ। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। সংকট উত্তোরণে জনসম্পৃক্ত আন্দোলনে এই সরকারকে বিদায় করে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনে দেশে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলের গণফোরাম চত্বরে একদফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণফোরাম (মন্টু) ও বিপিপির যৌথ উদ্যোগে গণমিছিলপূর্ব এক সমাবেশে এসব কথা বলেন আব্দুল কাদের।
বিপিপির মহাসচিব কাদের অবিলম্বে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানান।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন- গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি জগলুল হায়দার আফ্রিক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, ছাত্র সম্পাদক মো. সানজিদ রহমান শুভ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান বুলু, ঢাকা জেলা গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান খোকন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজম রুপু, কামাল উদ্দিন সুমন, আনোয়ার ইব্রাহীম, বিপিপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম সরদার, দপ্তর সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. লিটন জোয়ার্দার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
পরে গণমিছিল শুরু হয়ে শাপলা চত্বর হয়ে আরামবাগ-ফকিরাপুল মোড় ঘুরে পুনরায় গণফোরাম চত্বরে এসে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন